নয়া দিল্লি: লখিমপুর কাণ্ডে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রের পদত্যাগের দাবিতে মৌনব্রত পালন করেই বিক্ষোভ দেখাবে কংগ্রেস। সোমবার থেকেই লখনউতে লখিমপুর কাণ্ডে মৃতদের সুবিচারের দাবিতে মৌনব্রত ধারণ করেছেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। লখনউয়ের গ্রাণ্ড পোস্ট অফিসের সামনে মঞ্চ বানিয়ে মৌনব্রত শুরু করেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী।
তবে শুধু লখনউতেই নয়, সারা দেশজুড়েই মৌনব্রত পালনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে কংগ্রেস। দিল্লির যন্তরমন্তরেও কংগ্রেস কর্মীরা কৃষক মৃত্যুর প্রতিবাদে মৌনব্রতের মাধ্যমে প্রতিবাদ প্রদর্শন করেন। জম্মু-কাশ্মীরের কংগ্রেস ইনচার্জ রজনী পাটিল ও কংগ্রেস সভাপতি গুলাম আহমেদ মীর সহ একাধিক কংগ্রেস কর্মী রাজ্যপালের বাসভবনের সামনে বসে মৌনব্রত পালন করেন।
বিহারেও কংগ্রেস কমিটির তরফে মৌনব্রত পালন করা হয়। রাজ্য়ের কংগ্রেস প্রধান ভক্ত চরণদাস ও সভাপতি মদন মোহন ঝা-ও এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন। রাজস্থানের মন্ত্রী প্রতাপ সিং ও মুখ্য হুইপ মহেশ যোশীও জয়পুরে মৌনব্রত পালন করে প্রতিবাদ দেখান। তামিলনাড়ুতেও কংগ্রেস কর্মীরা কেন্দ্র ও উত্তর প্রদেশ সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রদর্শন করেন।
রবিবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলে আশীষ মিশ্রকে তদন্তে অসহযোগীতার অভিযোগে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে কংগ্রেসের দাবি, কেবল আশীষ মিশ্রকে গ্রেফতার করলেই হবে না। গোটা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত চাই। যদি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পদে অজয় কুমার মিশ্র থাকেন, তবে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে। সেই কারণেই অজয় মিশ্রকে পদত্যাগ করতে হবে।
মৌনব্রত শেষ করার পর দলের মুখপাত্র অশোক সিং বলেন, “কেন্দ্রের তিন কালা কৃষি আইন ও লখিমপুর খেরিতে কৃষক হত্যার ঘটনার প্রতিবাদেই কংগ্রেস মৌনব্রত পালন করছে। যদি অজয় মিশ্র মন্ত্রী পদে থাকেন, তবে কীভাবে ন্যয় বিচার হবে?” তিনি জানান, গোটা ঘটনার তদন্ত না হওয়া অবধি কংগ্রেস সত্যাগ্রহের পথই অবলম্বন করে আন্দোলন চালাবে।
রবিবারই বারাণসীতে একটি জনসভায় প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বলেন, “কংগ্রেস কর্মীদের মারধরই করুন বা জেলে পুড়ে দিন, তারা কাউকে ভয় পায় না। যতদিন না কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পদত্যাগ করছেন, আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। আমাদের দল দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়েছে। কেউ আমাদের চুপ করাতে পারবে না।”