জেনেভা: বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই করোনার ভ্যাকসিন (Covid Vaccine) দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। কোটি কোটি মানুষ ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ় নিয়েও ফেলেছেন ইতিমধ্যেই। কিন্তু করোনাভাইরাস (Coronavirus) কিছুদিন আগে পর্যন্ত অপরিচিত ছিল। তাই তার ভ্যাকসিন (Vaccine) নিয়েও গবেষণা চলছে প্রতিনিয়ত। দুটি ডোজ় কি আদৌ পালাবে করোনা? রয়েছে এমন প্রশ্ন। তাই ভাইরাস প্রতিরোধ ক্ষমতা নিশ্চিত করতে বুস্টার ডোজ় (Booster Dose) দেওয়া হচ্ছে অনেক দেশে। দুটি ডোজ়ের পর দেওয়া হচ্ছে আরও একটি অতিরিক্ত ডোজ়। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বলছে সবার জন্য এই অতিরিক্ত ডোজ়ের প্রয়োজন নেই।
সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে কম, তাদেরই এই বুস্টার ডোজ়ের প্রয়োজন। অন্যদিকে, রাষ্ট্রসঙ্ঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভাগ স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজারি গ্রুপ অফ এক্সপার্টস অন ইমিউনাইজেশন-এর তরফেও বলা হয়েছে, সবার ক্ষেত্রে বুস্টার ডোজ়ের প্রয়োজনীয়তা নেই। বিশেষজ্ঞদের দাবি, যারা চিনা ভ্যাকসিন সিনোভাক বা সিনোফাম নিয়েছেন এবং যাদের বয়স ৬০-এর ওপরে, তাদেরই প্রয়োজন বুস্টার ডোজ়। বিশেষজ্ঞরা বারবার বলছেন, সব মানুষের জন্য বুস্টার ডোজ়ের প্রয়োজনীয়তা নেই।
সম্প্রতি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় টানা চার দিনের একটি বৈঠক হয়ে গেল। সেই বৈঠকে ভারতীয় সংস্থা ভারত বায়োটেকের (Bharat Biotech) তৈরি কোভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে বলে অনুমান করা হয়েছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছাড়পত্র না মিললে কোভ্যাকসিন (Covaxin) টিকা নিয়ে অন্যান্য দেশে যেতে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে ভারতীয়দের। হু-র কাছে অনে আগেই আবেদন করা হয়েছে। রিভিউ হওয়ার পর তবেই ছাড়পত্র দেওয়ার কথা।
এ দিকে, ভারতেও বুস্টার ডোজ় দেওয়ার ক্ষেত্রে অনুমোদন দেওয়ার কথা ভাবছে আইসিএমআর। ট্রায়ালও চলছে সেই অতিরিক্ত ডোজ় নিয়ে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে দুটি ডোজ় নেওয়ার পরও ২০ শতাংশের শরীরে কোনও আ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি।
ভুবনেশ্বের একটি গবেষণার টিমের সদস্যদের অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে তাদের মধ্যে ২৩ শতাংশের শরীরে কোনও আ্যান্টিবডি নেই। অর্থাৎ অ্যান্টিবডি রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ এসেছে। এদের প্রত্যেকেরই ভ্যাকসিনের দুটি করে ডোজ নেওয়া হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Maharashtra Bandh: ঘরে ভাত নেই, বনধের দিনেও যাত্রীর খোঁজে বেরিয়েছিলেন অটোচালক, জুটল কেবল চড়!
সম্প্রতি আমেরিকার ফুড অ্য়ান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বুস্টার ডোজের ক্ষেত্রে অনুমোদন দিয়েছে। এফডিএ-র এই ঘোষণায় অনেকটাই স্বস্তি পেয়েছেন লক্ষাধিক মার্কিনবাসী। যাদের অঙ্গ প্রতিস্থাপন হয়েছে বা ক্যানসার আক্রান্ত কিংবা জটিল কোনও রোগে আক্রান্ত, তাদের করোনা সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। টিকার পাশাপাশি তাদের অতিরিক্ত সুরক্ষা দেবে এই বুস্টার ভ্যাকসিন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম বা কোনও কড়া ওষুধ চলছে, তাদের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের একটি বা দুটির জোজ়ের মাধ্যমে সুস্থ ব্যক্তির সমান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলা অসম্ভব। সেক্ষেত্রেই এই বুস্টার ভ্যাকসিন কিছুটা সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: Akasa Air: মিলল ছাড়পত্র, ২০২২-এ বিমান ওড়াবে রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার সংস্থা ‘আকাসা এয়ার’