নয়া দিল্লি: দুর্নীতি নিয়ে কেন্দ্রের নীতি ‘জিরো টলারেন্স’ (Zero Tolerance) অর্থাৎ কোনও ধরনের দুর্নীতি বরদাস্ত করবে না কেন্দ্র। ই-কমার্স সংস্থা আমাজনকে (Amazon) এই বিষয়ে কড়া বার্তা দেওয়া হল কেন্দ্রের তরফে। অভিযোগ, আমাজনের তরফে কয়েকজন ভারতে ঘুষ (Bribe) দিয়েছে। আর সেই অভিযোগ শুনেই বার্তা দেওয়া হল কেন্দ্রের তরফে। আমাজন ইতিমধ্যেই ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে ঠিক কোন রাজ্যে, কবে ঘুষ দেওয়া হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
যারা নিয়ম ভেঙে ঘুষ দিয়েছে, তাদের যাতে অবিলম্বে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়, সেই ব্যাপারেই আমাজনকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। বলা হয়েছে, আমাজন লিগাল ফি হিসেবে ২০০০ কোটি টাকা খরচ করে ফেলেছে। আমাজনের উচিৎ খুঁজে বের করা, কোথায় গেল সেই টাকা। গোটা সিস্টেমটা ঘুষ দিয়ে চলাটা মোটেই কাম্য নয়, এমনটাই বলা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।
সম্প্রতি এক সূত্র থেকে আমাজন জানতে পেরেছে যে সংস্থার কয়েকজন লিগাল রিপ্রেজেন্টেটিভ ভারতে সরকারি অফিসারদের ঘুষ দিয়েছে। এরপরই তৎপরতার সঙ্গে শুরু হয়েছে তদন্ত। কারা এ কাজ করল? খতিয়ে দেখছে আমাজন। ইতিমধ্যেই সংস্থার তরফে বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, এই ধরনের অভিযোগ পেলে তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয় আমাজন। ঘুষের কথা স্বীকার বা অস্বীকার না করেই আমাজনের দাবি, তারাও কোনও দুর্নীতিকে আমল দেয় না। আমাজনের এক মুখপাত্র বলেন, ‘দুর্নীতি আমরা বরদাস্ত করি না। আমরা যে কোনও অন্যায়ের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।’ তবে তদন্তে ঠিক কী দেখা যাচ্ছে, সে ব্যাপারে এখনও কিছু জানায়নি সংস্থা।
কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের তরফ থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। যেখানে সিবিআই তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সব স্তর থেকে দুর্নীতি সরানোর যে পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের, এই ঘটনা তার পরিপন্থী। কোন সরকারি আধিকারিকেরা এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, তাদের নাম সামনে আনার দাবিও জানিয়েছে ওই সংগঠন। সংগঠনের তরফ থেকে ইউএস সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান গ্যারি গেসলারের কাছেও তদন্তের আর্জি জানানো হবে।
সিএআইটির প্রেসিডেন্ট বিসি ভারতীয় জানান, ভারতের ই-কমার্সের বাজার সুরক্ষিত রাখতে অবিলম্বে এই ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিৎ। বর্তমানে ভারতে আইনি লড়াই লড়ছে আমাজন। রিল্যায়েন্স ও ফিউচার গ্রুপের মধ্যে বাণিজ্যিক হস্তান্তর রুখতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থও হয়েছে আমাজন। প্রথমে দিল্লি হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ আমাজনের একটি আবেদনের ভিত্তিতে এই দুই সংস্থার চুক্তিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তারপর ডিভিশন বেঞ্চ সেই নিষেধাজ্ঞা বাতিল করে দেয়। এরপর হস্তান্তরের রাস্তা পরিষ্কার হয়।