নয়া দিল্লি : ভারতের সর্ববৃহৎ দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনকারী ব্র্যান্ড আমূলের মাথায় হাত। উল্লেখ্য, ১ জুলাই থেকে কার্যকর হতে চলেছে ‘ওয়ান টাইম’ প্লাস্টিকের উপর নিষেধাজ্ঞা। এর জেরে বিভিন্ন জুসের প্যাকেটের সঙ্গে যে ‘প্লাস্টিক স্ট্র’ দেওয়া হত, তাও বন্ধ করতে চলেছে বিভিন্ন সংস্থাগুলিকে। আর তাতেই মাথায় হাত পড়েছে আমূলের। আর এই কারণেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে আনন্দ মিল্ক ইউনিয়েনের আর্তি, প্লাস্টিকের স্ট্র-এর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা বৃদ্ধি করা হোক। সংস্থার দাবি, সরকারের নিষেধাজ্ঞার এই পদক্ষেপ কৃষকদের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলবে।
জানা গিয়েছে, প্লাস্টিক স্ট্র-এর উপর নিষেধাজ্ঞা স্থগিত রাখতে বলে গত ২৮ মে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি লিখেছিল আমূল। সেই চিঠি সম্প্রতি হাতে এসেছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের। আমুল প্রতি বছর প্লাস্টিকের স্ট্র যুক্ত কোটি কোটি ছোট দুগ্ধের কার্টন বিক্রি করে। এই সংস্থার গোটা ব্যবসার মূল্য ৭৯০ মিলিয়ন ডলার। তবে ১ জুলাই থেকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে চলেছে প্লাস্টিক স্ট্র-এর উপর। সেই নিষেধাজ্ঞা যাতে আরও কিছুদিন পর আরোপ করা হয়, তা নিয়ে আবেদন করে আমূল। জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র আমূল নয়, প্লাস্টিক স্ট্র-এর উপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিয়ে মাথায় হাত পড়েছে পেপসি কো, কোকা কোলার মতো সংস্থারও। যদিও এই সংস্থাগুলির আর্তি আগেই খআরিজ করে দেয় কেন্দ্র। কেন্দ্র অনড় মনোভাবে এই সংস্থাগুলিকে জানিয়েছে যাতে তারা বিকল্প উপায় বের করে নেয়। এই আবহে এবার আমূল নতুন করে প্লাস্টিক স্ট্র-এর উপর নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা একবছর বৃদ্ধির আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখে। আমূলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আরএস সোধি এই চিঠি স্বাক্ষর করেছেন।
আরএস সোধি মোদীকে লেখা চিঠিতে দাবি করেন, ‘প্লাস্টির স্ট্র-এর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি বিলম্বিত করা হলে তা ১০০ মিলিয়ন দুগ্ধ খামারিদের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে এবং তাদের সুবিধা প্রদান করবে। এই কৃষকররাই দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদন করে আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে।’ যদিও এই চিঠির প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর দফতর কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। এদিকে এই চিঠি প্রসঙ্গে আরএস সোধিও সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি। তবে আমূলের তরফে জানানো হয়েছে, নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা পিছিয়ে না দেওয়া হলে বাধ্য হয়েই স্ট্র ছাড়া তারা তাদের পণ্য বিক্রি করবে ১ জুলাই থেকে।