বিজয়ওয়াড়া: মিলল না জামিন। জেল হেফাজতে পাঠানো হল অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুকে। রবিবার দুর্নীতি-দমন ব্যুরো আদালত (ACB) চন্দ্রবাবু নাইডুকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। ৩৭১ কোটি টাকার স্কিল ডেভলপমেন্ট (APSSDC) দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগেই অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিল আদালত।
স্কিল ডেভলপমেন্ট দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা টিডিপি নেতা চন্দ্রবাবু নাইডুকে শনিবার ভোরে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। তাঁর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, প্রতারণা ও অসৎ উপায়ে সম্পত্তি বিতরণে প্ররোচিত করা এবং প্রতারণার মামলা দায়ের হয়েছে। এদিন তাঁকে বিজয়ওয়াড়ায় দুর্নীতি-দমন ব্যুরো আদালতে পেশ করা হয়। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর তরফে জামিনের আবেদন করা হয়। কিন্তু, আদালত তাঁর আবেদন খারিত করে দেয় এবং ১৪ দিনের জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেয়। অর্থাৎ আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে থাকবেন অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য স্কিল ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা হয়। সিমেন্স ইন্ডাস্ট্রি সফটওয়্যার ইন্ডিয়া লিমিটেড ও ডিজাইন টেক সিস্টেমস প্রাইভেট লিমিটেড-এর সঙ্গে চুক্তি হয় এই সংস্থার। চুক্তিতে স্থির হয়, সিমেন্স ইন্ডাস্ট্রি সফটওয়্যার রাজ্যজুড়ে স্কিল ডেভলপমেন্ট সেন্টার করবে এবং সেখানে বেকার যুবকদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। রাজ্য সরকার মোট খরচের ১০ শতাংশ টাকা দেবে এবং বাকি টাকা দেবে সিমেন্স ইন্ডাস্ট্রি। কিন্তু, পরে দেখা যায় এই প্রকল্পের কোনও অনুমোদন দেয়নি চন্দ্রবাবু নাইডুর সরকার। এমনকি সিমেন্স ইন্ডাস্ট্রিস এই প্রকল্পে কিছু বিনিয়োগ করেনি বলেও অভিযোগ ওঠে। বরং রাজ্য সরকার এই প্রকল্পের জন্য যে ৩৭১ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল, সেটা বিভিন্ন ভুয়ো সংস্থায় খাটানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে। টেন্ডার দেওয়ার প্রক্রিয়া সঠিকভাবে মানা হয়নি বলেও অভিযোগ। এরপর গত মার্চে এই ঘটনার তদন্তে নামে সিআইডি। APSSDC-র সিইও তথা প্রাক্তন রেল আধিকারিক আর্জা শ্রীকান্তকে আগেই নোটিস দিয়েছিল সিআইডি। এই দুর্নীতির মামলার অভিযুক্তদের তালিকায় শীর্ষে চন্দ্রবাবু নাইডুর নাম রয়েছে বলে সিআইডি সূত্রে খবর।