AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

AP Physical Assault Case: চাকরি টোপ দিয়ে ডাক হাসপাতালে, ২০ ঘণ্টা ধরে লাগাতার ‘গণধর্ষণ’ মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণীকে

AP Physical Assault Case: তিনদিন আগে শ্রীকান্ত নামক ওই যুবক তাঁকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে হাসপাতালের ভিতরে নিয়ে যায়। পিছন পিছন তাঁর আরও দুই বন্ধুও অনুসরণ করে হাসপাতালে ঢোকে। সেখানেই ওই তিন যুবক মিলে প্রায় ২০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ধর্ষণ করে। 

AP Physical Assault Case: চাকরি টোপ দিয়ে ডাক হাসপাতালে, ২০ ঘণ্টা ধরে লাগাতার 'গণধর্ষণ' মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণীকে
প্রতীকী চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Apr 23, 2022 | 11:35 AM
Share

অমরাবতী: দিন-প্রতিদিন বেড়েই চলেছে নারীদের বিরুদ্ধে হয়ে চলা অপরাধের সংখ্যা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই মিলছে ধর্ষণ, যৌন নির্যাতনের খবর। এবার লালসার শিকার হলেন একজন মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা (Mentally Challenged Woman)। অভিযোগ, ওই মহিলাকে টানা দুইদিন ধরে গণধর্ষণ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্র প্রদেশের (Andhra Pradesh) বিজয়ওয়াড়ায়। সেখানে একটি সরকারি হাসপাতালেই গত ১৯ ও ২০ এপ্রিল ওই মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয়। অভিযোগ দায়ের হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Police)। এদিকে, গণধর্ষণের এই খবর সামনে আসতেই রাজ্যের শাসক ও বিরোধী দলের মধ্যেও কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগন্মোহন রেড্ডি ১০ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নির্যাতিতাকে।

বিজয়ওয়াড়ার পুলিশ কমিশনার কান্তি রাণা টাটা জানান, গত ২০ এপ্রিল নির্যাতিতার মা নুন্না পুলিশ স্টেশনে মেয়ের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ জানান। শ্রীকান্ত নামে এক অভিযুক্তের নামও উল্লেখ করেন তিনি। ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানান, ১৯ এপ্রিলের রাতে ওই মহিলা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল, তবে তিনি সেই রাতেই ওই তরুণীকে অটোয় করে বাড়ি ফেরত পাঠিয়ে দেন।

পরে ওই মহিলাকে খুঁজে পাওয়া গেলে তিনি জানান যে, শ্রীকান্ত মিথ্যা কথা বলছে। তাঁকে চাকরি দেওয়ার নাম করে একটি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় ওই যুবক। কিন্তু সেই প্রস্তাব স্বীকার না করায়, তাঁকে ধর্ষণ করে ওই যুবক। এরপরে ওই হাসপাতালেই তাঁকে ফেলে রেখে পালিয়ে আসে অভিযুক্ত।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ২৩ বছরের ওই তরুণী মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনদিন আগে শ্রীকান্ত তাঁকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে হাসপাতালের ভিতরে নিয়ে যায়। পিছন পিছন তাঁর আরও দুই বন্ধুও অনুসরণ করে হাসপাতালে ঢোকে। সেখানেই ওই তিন যুবক মিলে প্রায় ২০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ধর্ষণ করে।  বৃহস্পতিবার ওই নির্যাতিতা বাড়ি ফিরে আসলে গোটা ঘটনাটি জানা যায়। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ধৃত ওই তিন যুবক একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করে, যারা চুক্তির ভিত্তিতে সরকারি হাসপাতালের সাফাইয়ের কাজ করত।

অভিযোগ দায়ের হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ওই তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অন্যদিকে, নির্যাতিতা ওই তরুণীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে চিকিৎসার জন্য। তবে পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগের আঙুল উঠেছে। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার বাবা যখন প্রথমে মেয়ের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ জানাতে যান, সেই সময় তাঁর অভিযোগ গ্রহণ করতে অস্বীকার করে পুলিশ। পরে নির্যাতিতার মায়ের জোরাজুরিতে অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ।

রাজ্যের পুলিশের ডিজি কেভি রাজেন্দ্রনাথ রেড্ডি বিজয়ওয়াড়ার নুন্না পুলিশ স্টেশনের ইন্সপেক্টর ও সাব-ইন্সপেক্টরকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে, অন্ধ্র প্রদেশের মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান ভাসিরেড্ডি পদ্মা বিরোধী নেতা ও টিডিপি দলের প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডুর কাছে নোটিস পাঠিয়েছেন হেনস্থার অভিযোগ জানিয়ে। তাঁর অভিযোগ,  শুক্রবার টিডিপি দলের প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। সেই সময় ঘরে উপস্থিত ছিলেন মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন। সেখানেই তাঁদের মধ্যে কথাবার্তা বচসার আকার নেয়।