নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে একাধিক বৈঠকের পরও কৃষি আইন (Farm Law) নিয়ে রফাসূত্র মেলেনি। এরপরই শুক্রবার ভারত বনধের ডাক দেন আন্দোলনরত (Farmer Protest) চাষিরা। যতক্ষণ না কেন্দ্রীয় সরকার বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করছে, ততক্ষণ রাজধানী দিল্লির বুক কাঁপিয়ে তাঁরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন।
শনিবার অবশ্য পঞ্চমবার কেন্দ্রীয় দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে বসেছেন আন্দোলনকারীরা। তবে আগের অভিজ্ঞতা ও কেন্দ্রে অনড় মনোভাব দেখা এবারও সমঝোতা হবে বলে আশা করছেন না পর্যবেক্ষকেরা। আইন প্রত্যাহারের দাবি থেকে যে সরে আসার প্রশ্নই নেই, সেটাও জানিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ কৃষক সংগঠনগুলি। ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের সদস্য হরিন্দর সিং বলেন, ‘আমরা গোটা দেশকে আহ্বান জানাচ্ছি, আগামী ৮ ডিসেম্বর পথে নামুন। এবং আপনারা যেখানেই থাকুন না কেন, এই আন্দোলনে অংশ নিন।’ ভারত বনধের দিন কীভাবে দিল্লির চাক্কা জ্যাম করা যায় বর্তমানে সেই পরিকল্পনা করছেন কৃষকরা।
হরিন্দর সিং জানান, ভারত বনধের (Bharat Bandh) দিন, আগামী মঙ্গলবার দিল্লি প্রবেশের মূল পথগুলি তাঁরা বন্ধ করে দেবেন। প্রত্যেক টোলপ্লাজায় দখল কৃষকেরা। কেন্দ্রীয় সরকার ও কর্পোরেট হাউসগুলোর বিরুদ্ধে তাঁদের বিক্ষোভ আরো তীব্রতর হবে। বির্তকিত তিনটি আইন যাতে প্রত্যাহার করা যায়, তার জন্য অবিলম্বে সংসদে বিশেষ অধিবেশনও ডাকার আবেদন জানিয়েছে কৃষক সমাজ। ভারত বনধের সিদ্ধান্তে ইতিমধ্যেই সমর্থন জানিয়েছে বামপন্থী রাজনৈতিক সংগঠনগুলি।
আরও পড়ুন: ‘যোগ্যতার সঙ্গে কাজ করে প্রাধান্য নেই, ঠান্ডা ঘরে বসারাই সামনের সারিতে’, বিস্ফোরক রাজীব
যদিও আন্দোলনকারীরা স্পষ্ট বলেছেন, এই লড়াই তাঁদের একার। এখানে কোনও রাজনৈতিক দলকে তাঁরা শরিক হিসেবে চান না। দিল্লির বুকে ঘটে চলা এই আন্দোলনের রেশ ক্রমশ পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র এবং উত্তর প্রদেশের মতো রাজ্যেও ছড়াতে শুরু করেছে। একাধিক জায়গায় কৃষকদের সমর্থনে মিছিল বের হচ্ছে। গত ১০ দিন ধরে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা কৃষকরা তিনটি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। তাঁরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, আইন প্রত্যাহার না হলে অবস্থান পরিবর্তন করার কোনও প্রশ্নই নেই। আগামী চার মাসের রসদ সঙ্গে নিয়েই তাঁরা এসেছেন।