নয়া দিল্লি: যত দিন গড়াচ্ছে, ততই বড় আকার ধারণ করছে পেগাসাস কাণ্ড। এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রী, সাংবাদিক, শিল্পপতি সহ প্রায় ৫০ হাজার মানুষের ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ উঠেছে। রাহুল গান্ধী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশান্ত কিশোরের মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নাম সামনে আসার পর এ বার পেগাসাসের শিকার শিল্পপতিদেরও নাম সামনে এল।
দ্য ওয়্যার নামক ওকটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, পেগাসাস স্পাইওয়্যারের শিকার হয়েছিলেন শিল্পপতি অনিল অম্বানী। তালিকায় নাম রয়েছে উড়ান শিল্পের বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বেরও। ওই সংবাদ মাধ্যমের দাবি, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে জনতার সামনে রাফাল ইস্যুটি উঠে আসার পরই অনিল অম্বানী সহ রিলায়েন্স গ্রুপের অন্যান্য শীর্ষ কর্তাদের উপর নজরদারি রাখা হচ্ছিল। সেই সময় বিরোধী কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অতিরিক্ত দাম দিয়ে ৩৬টি রাফাল জেট কিনেছেন, যারফলে অম্বানীর সংস্থা রাফাল প্রস্তুতকারক সংস্থা ড্যাসাউল্ট এভিয়েশনের সঙ্গে মোটা টাকার চুক্তি করতে পারে।
সেই কারণেই পেগাসাস স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে অনিল অম্বানী ছাড়াও ড্যাসাউল্ট এভিয়েশনের ভারতে প্রতিনিধি ভেঙ্কট রাও পসিনা, সাব ইন্ডিয়ার প্রাক্তন প্রধান ইন্দাপজিৎ সিয়ল ও বোয়িং ইন্ডিয়ার মালিক প্রত্যুষ কুমারের উপর নজরদারি রাখা হত, তালিকায় তাদের নামও ছিল।
এছাড়াও ফ্রান্সে শক্তি উৎপাদক সংস্থা ইডিএফ-র প্রধান হরমনজিৎ নাগীর নামও পেগাসাসের তালিকায় ছিল বলেই জানা গিয়েছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রঁ যখন ভারত সফরে এসেছিলেন, তার প্রতিনিধি দলের সদস্য ছিলেন হরমনজিৎ। ইতিমধ্যেই ফরাসি প্রেসিডেন্টের ফোনে আড়ি পাতার বিষয়টি সামনে আসতেই ফোন বদলে ফেলেছেন ম্যাক্রঁ।