ঋষিকেশ: তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে অঙ্কিতা ভান্ডারির খুনের ঘটনায়। রিসর্টের আড়ালে দেহ ব্যবসা, মাদক ব্য়বসা চালানোর তথ্য আগেই জানতে পেরেছিল পুলিশ। এবার জানা গেল, অঙ্কিতাকে খুনের পরের দিনই মূল অভিযুক্ত পুলকিত আর্য এক প্রশাসনিক আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেন।
উত্তরাখণ্ডের ১৯ বছর বয়সী রিসেপশনিস্ট অঙ্কিতা ভান্ডারির খুনের ঘটনা ঘিরেই তোলপাড় রাজ্য তথা গোটা দেশ। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে বিজেপি নেতার ছেলে পুলকিত আর্য ও তাঁর রিসর্টের দুই কর্মীকে। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, দেহ ব্যবসায় রাজি না হওয়ায় খুন করা হয় অঙ্কিতাকে। প্রমাণ লোপাট করতে রিসর্টের দুই কর্মীর সাহায্য নিয়েই পুলকিত অঙ্কিতার দেহ নিয়ে খালে ফেলে দেয়। দুইদিন পরে অঙ্কিতার দেহ উদ্ধার করা হয়।
তদন্তে জানা গিয়েছে, খুনের পরের দিন পুলকিত আর্য পটওয়ারি বৈভব নামক এক প্রশাসনিক আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেন। ওই আধিকারিক জমির রেকর্ডের দায়িত্বে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, বৈভবই প্রথম অঙ্কিতার সম্পর্কে খোঁজ-খবর করেন পুলকিতের কাছে এবং তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলকিত নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করেন। এরপরই পটওয়ারি বৈভবকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
গোটা বিষয়টি জানার পরই পুলিশ পুলকিতের সঙ্গে বৈভবের সম্পর্ক এবং অঙ্কিতাকে খুনের পরেরদিন তাদের বৈঠক সম্পর্কে খতিয়ে দেখছে। পুলিশি তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, অঙ্কিতার বন্ধু পুষ্প গত ১৪ ও ১৫ সেপ্টেম্বর পুলকিতের রিসর্টে ছিল। ১৬ সেপ্টেম্বর পুষ্প জম্মুতে ফিরে যায়। এরপরই ১৮ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ হয়ে যায় অঙ্কিতা। ২৪ সেপ্টেম্বর ঋষিকেশের কাছে একটি খাল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়।