নয়া দিল্লি: সভাপতি নির্বাচন করাতেই হিমশিম খাচ্ছে কংগ্রেস। প্রার্থী বাছাই পর্ব শুরু হতেই সামনে এসেছে অন্তর্দ্বন্দ্ব। সরকার ভাঙা থেকে কোনও মতে রক্ষা পেয়েছে রাজস্থান। আজ কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। প্রার্থী বাছাইয়ের শেষ দিনেই চমক আনতে চলেছে কংগ্রেস। সূত্রের খবর, কংগ্রেসের হাই কম্যান্ড বা শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে সভাপতি নির্বাচনের জন্য প্রার্থী মনোনয়ন করা হতে পারে। কংগ্রেসের অফিশিয়াল প্রার্থী হিসাবে ইতিমধ্যেই মুকুল ওয়াসনিক ও মীরা কুমারের নাম সামনে উঠে এসেছে।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, রাজস্থানের মুখ্য়মন্ত্রী অশোক গেহলটের প্রার্থী হওয়াকে ঘিরে রাজ্যে যে টানাপোড়েন শুরু হয়েছিল এবং সরকার ভাঙার উপক্রম তৈরি হয়েছিল, তার পরেই উদ্বিগ্ন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। সভাপতি নির্বাচন থেকে অশোক গেহলট সরে দাঁড়ালেও গোটা ঘটনায় অসন্তুষ্ট হয় শীর্ষ নেতৃত্ব। এরপরই শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে মনোনীত বা অফিশিয়াল প্রার্থী ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই মুকুল ওয়াসনিককে প্রার্থী হওয়ার জন্য রাজি করার কাজে নেমে পড়েছেন বাকি নেতারা। গতকাল রাতেই ১০ জনপথ রোডে অশোক গেহলট, অম্বিকা সোনি ও মুকুল ওয়াসনিকের মধ্যে বৈঠক হয়। পরে একে অ্যান্থনির সঙ্গেও আলাদাভাবে বৈঠক করেন মুকুল ওয়াসনিক। আজই পাকাপাকিভাবে জানা যাবে, মুকুল ওয়াসনিক বা মীরা কুমার কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন কি না।
উল্লেখ্য, মুকুল ওয়াসনিক যদি প্রার্থী হন, তবে তিনি দ্বিতীয় জি-২৩ শিবিরের নেতা হবেন, যিনি সভাপতি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর মনোনয়ন পত্র তুলেছেন। তিনিও কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ শিবির জি-২৩ র সদস্য। অন্যদিকে, মীরা কুমার কংগ্রেসের শাসনকালে লোকসভার স্পিকার ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তাঁকে বিশেষ কোনও ভূমিকা পালন করতে দেখা না গেলেও, বর্তমানে প্রার্থী হিসাবে তাঁর নাম উঠে এসেছে।
সেই দিক থেকে বিচার করলে, মুকুল ওয়াসনিক দলের অনেক পুরনো সদস্য। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর রাহুল গান্ধী যখন দলের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন, তখনও মুকুল ওয়াসনিকের নাম সভাপতি হিসাবে উঠে এসেছিল। যদিও দলীয় কর্মীদের দাবি মেনে শেষ অবধি সনিয়া গান্ধীই অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।