নয়া দিল্লি: উৎসবের মেজাজে সুর কাটল ছাত্র সংগঠনের মধ্যে রেষারেষি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরে হাসপাতালের ভিতরেই চলল গুলি। ঘটনায় এক পড়ুয়া আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। হঠাৎ গুলি চালানোর ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতাল চত্বরে। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য পুলিশের পাশাপাশি আনা হয় র্যাফও। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানী দিল্লিতেই একটি হাসপাতালে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিল্লির ওখলায়। হোলি ফ্যামিলি হাসপাতালেই রাতে পড়ুয়াদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলি চালানোর ঘটনা সামনে আসে। এলাকাবাসীরাই পুলিশে ফোন করে গুলি চালানোর বিষয়টি জানান। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিশ। গুলি চালানোর ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন। আহত ওই ব্যক্তি পড়ুয়া বলেই জানা গিয়েছে।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে লাইব্রেরিতে ঝগড়া নিয়েই বৃহস্পতিবার রাত ৯টার জামিয়া নগর থানায় একটি পিসিআর কল আসে। বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতাল চত্বরের ভিতরেই পড়ুয়াদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা শুরু হয়। অভিযুক্তরা জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বলেই মনে করা হচ্ছে। ধীরে ধীরে ওই বচসা হাতাহাতির রূপ নেয়। এরপরেই এক পক্ষের তরফে গুলি চালানো হয়। এক পড়ুয়া গুলিতে আহত হন। জানা গিয়েছে, মিরাটের সারদাহান গ্রামের বাসিন্দা আইনের ছাত্র নোমান চৌধুরী (২৬) মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। তাঁর মাথায় গুলি লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁকে হোলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
At 08:51 pm, a PCR call was received at PS- Jamia Nagar regarding a quarrel at Jamia Millia Islamia University. It was found that fight had ensued b/w two groups. In the incident, one student sustained an injury on head & was admitted to Holy Family Hospital: Delhi Police (1/2)
— ANI (@ANI) September 29, 2022
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, নোমান চৌধুরীর তাঁর বন্ধু -আরেক ছাত্র নওমান চৌধুরী ও তাঁর বন্ধুকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। এরই মধ্যে হরিয়ানার মেওয়াতের বাসিন্দা জালাল নামে দ্বিতীয় গোষ্ঠীর এক ছাত্র তাঁর বন্ধুদের নিয়ে হাসপাতালে চড়াও হয়। হাসপাতালের ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডের বাইরে নোমান চৌধুরীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় জালাল।
ওই হাসপাতালেরই এক চিকিৎসক জানান, দীর্ঘক্ষণ ধরেই বচসা চলছিল ছাত্রদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। রাত ৯টা নাগাদ আচমকাই গুলি চালানোর শব্দ শোনা যায়। এরপরই হাসপাতাল চত্বরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে থাকা নিয়ে আতঙ্ক প্রকাশ করেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতির সামাল দেয়।
গুলি চালানোর ঘটনার পরে হাসপাতালের তরফেও একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় এলাকার দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ চলছিল। আচমকাই এক গোষ্ঠীর তরফে গুলি চালানো হয়। ঘটনায় অপর গোষ্ঠীর এক সদস্য আহত হলেও, বাকি কোনও পথচারী, রোগী বা তাদের পরিবারের কোনও সদস্য আহত হননি। দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।