লোয়ার কেজি-তে একজন পড়ুয়াকে ভর্তির খরচ ২ লক্ষ টাকারও বেশি। সোশ্যাল মিডিয়াতে সেই অ্যাডমিশন ফি-এর ব্রেক-আপ স্ট্রাকচার প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গেছে। নেটিজেনরা রীতিমতো তাজ্জব বনে গেছেন এই ফি স্ট্রাকচার দেখে। তাঁদের প্রশ্ন, এক শিশুকে লোয়ার কেজি-তেই যদি ভর্তি করতে ২ লাখের বেশি টাকা লাগে, তাহলে তাকে সারাজীবন ধরে স্কুল-কলেজে পড়াতে বাবা মায়ের কত টাকা খরচ হতে পারে! এই নিয়ে শুরু হয়ে গেছে বিতর্ক।
যে পোস্টটি নতুন করে ভাইরাল হচ্ছে সেটি আদতে প্রায় ৭ বছরের পুরনো। বেঙ্গালুরুর একটি স্কুলের ২০১৭-১৮ সালের অ্যাডমিশন ফি-এর ব্রেক আপ সেটি। যেখানে দেখা যাচ্ছে শিশুকে লোয়ার কেজিতে ভর্তি করতে লাগবে সর্বমোট ২,০২,০০০ টাকা। যার মধ্যে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভলপমেন্ট ফি-ই প্রায় ৬২,৫০০ টাকা। বিল্ডিং ফান্ডের জন্য নেওয়া হয়েছে ৪২,৫০০ টাকা। খেলাধূলার জন্য খরচ ১০ হাজার টাকা। এই ফি দেখে নেটিজেনরা প্রশ্ন তুলছেন, এটা যদি ২০১৭-১৮ সালের ফি স্ট্রাকচার হয়, তাহলে ২০২৫-২৬ সালে ভর্তিতে কত টাকা লাগতে পারে? অনেকে তো এই প্রশ্নও তুলে দিচ্ছেন, ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভলপমেন্ট ফান্ড ও বিল্ডিং ফান্ড কি আলাদা? এভাবে কি টাকা ‘লুট’ করা যায়?
২০১৮-র একটি জাতীয় সংবাদপত্রে এই খবর প্রথম প্রকাশিত হয়। বেঙ্গালুরুর বিশপ কটন বয়েজ স্কুলে অ্যাডমিশনের জন্য ২ লক্ষ টাকারও বেশি খরচ করতে হচ্ছে অভিভাবকদের। অনেকে তো এত খরচ নিয়ে সে সময় বিক্ষোভও দেখান। সম্প্রতি সেই অ্যাডমিশন ফি স্ট্রাকচার-ই আবার নতুন করে এক্স মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই দিল্লি, পুণে, বেঙ্গালুরুতে আবার নতুন শিক্ষাবর্ষের অ্যাডমিশন শুরু হয়েছে। অভিভাবকরা অনেকেই পড়ানোর অত্যাধিক খরচ নিয়ে আবার প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। সেই প্রেক্ষিতেই সম্ভবত পুরনো এই পোস্টটি ভাইরাল হচ্ছে। তবে একথা মানতেই হবে, বেঙ্গালুরু হোক বা দিল্লি, কলকাতা হোক বা জেলা– বেসরকারি স্কুলগুলিতে পড়াশোনার খরচ প্রতিদিনই একটু একটু করে মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এ রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই খরচে রাশ টানতে উদ্যোগী হলেও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির টনক নড়েনি।