AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

JDU-RJD: বিহারে আজই ভাঙছে ‘মহাগঠবন্ধন’? জোর ধাক্কা খেতে পারে ‘ইন্ডিয়া’ জোট

JDU-RJD verbal spatter: বিহারের পটনা থেকে পথ চলা শুরু করেছিল ইন্ডিয়া জোট। যে বিহারের 'মহাগঠবন্ধন' সরকারের মডেলই ছিল ইন্ডিয়া জোটের অঙ্কুর। এবার সেই বিহারের মহাগঠবন্ধন সরকারের প্রধান দুই শরিক দল, নীতীশ কুমারের জেডিইউ এবং লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডি।

JDU-RJD: বিহারে আজই ভাঙছে 'মহাগঠবন্ধন'? জোর ধাক্কা খেতে পারে 'ইন্ডিয়া' জোট
তেজস্বী-রাহুলদের হাত ছাড়বেন নীতীশ? Image Credit: PTI
| Updated on: Jan 25, 2024 | 4:20 PM
Share

পটনা: ইন্ডিয়া জোটে একের পর এক ধাক্কা। ইতিমধ্য়েই তৃণমূল কংগ্রেস এবং আপ জানিয়ে দিয়েছে, যথাক্রমে বাংলা এবং পঞ্জাবে এককভাবে লড়বে তারা। এর মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব দেখা দিল বিহারেও। বিহারের পটনা থেকেই পথ চলা শুরু করেছিল ইন্ডিয়া জোট। বিহারের ‘মহাগঠবন্ধন’ সরকারের মডেলই ছিল ইন্ডিয়া জোটের অঙ্কুর। এবার প্রকাশ্যেই তীব্র বাকবিতন্ডায় জড়াল, সেই মহাগঠবন্ধন সরকারের প্রধান দুই শরিক দল, নীতীশ কুমারের জেডিইউ এবং লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডি। অবস্থা এমনই, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সরকার ভেঙে যেতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। বিহারের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে এই ডামাডোলের সূত্রপাত হয়েছে, মোদী সরকার বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত কর্পুরী ঠাকুরকে মরণোত্তর ভারতরত্ন দেওয়ার কথা ঘোষণা করার পর।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি), কর্পুরী ঠাকুরের জন্মবার্ষিকীতে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করতে গিয়ে, বংশবাদী রাজনীতির বিরুদ্ধে মুখ খোলেন নীতীশ। ইউপিএ সরকারের সমালোচনাও করেন। তিনি জানান, কর্পুরী ঠাকুর কখনও রাজনীতিতে তাঁর নিজ পরিবারের প্রচার করেননি। নিজের পরিবারের সদস্যদের এগিয়ে দেননি। তাঁকে সম্মান জানানোর জন্য মোদী সরকারের প্রশংসাও করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। সরাসরি কারও নাম নেননি, তবে, নীতীশের নিশানা যে মহাগঠবন্ধন সরকারের শরিক দল আরজেডি, তা বুঝতে কারও অসুবিধা হয়নি। স্ত্রী রাবড়িদেবী, পুত্র তেজস্বী এবং তেজপ্রতাপ, মেয়ে মিসা – পরিবারের প্রায় সব সদস্যকেই গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পদে বসিযেছেন লালুপ্রসাদ যাদব।

বংশবাদী রাজনীতি নিয়ে নীতীশ কুমারের এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া এসেছে, লালুপ্রসাদ যাদবের কন্যা রোহিণী আচার্যের দিক থেকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, “প্রায়শই, মানুষ তার নিজের ত্রুটিগুলি দেখতে পায় না। কিন্তু, অন্যের প্রতি নির্লজ্জের মতো কাদা ছুড়তে থাকে।” আরও এক এক্স পোস্টে তিনি লেখেন, “হাওয়ার মতো যার মতবাদ বদলায়, সেই নিজেকে সমাজবাদী পুরোধা হওয়ার দাবি করে।” আরও লেখেন, “নিজে অযোগ্য হলে, ক্ষোভ দেখিয়ে কী লাভ? কারও উদ্দেশ্যই প্রতারণামূলক হলে বিধির বিধান নিয়ে কে প্রশ্ন তুলতে পারে?” পরে এই পোস্টগুলি তিনি মুছে দিয়েছেন। কিন্তু, যা ক্ষতি হওয়ার তা হয়ে গিয়েছে।

লালু কন্যাও কারও নাম করেননি। তবে, তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের লক্ষ্য যে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী, তাও দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। প্রকাশ্যেই মহাগঠবন্ধনের দুই শরিক দলের নেতারা দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ায়, সরকারের স্থায়িত্ব নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। বিজেপি এখনও পর্যন্ত রাজ্য রাজনীতির এই অগ্রগতি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। তবে, তারা যে পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে, তা বলাই বাহুল্য।

সূত্রের খবর, ফের বিজেপিতে ফিরতে চাইছেন নীতীশ। বিজেপিও তাঁকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। সূত্রের দাবি, নীতীশ কুমারের ফেরার বিষয়টি নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা চলছে। নীতীশের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা। লোকসভা নির্বাচনের আগে, বিহারে যদি ফের পরিবর্তন হয়, তাহলে জোর ধাক্কা খাবে ইন্ডিয়া জোট। বিহার সরকারের জোটই তো দেশ জুড়ে বিরোধীদের এককাট্টা হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছিল।