Red Alert in Himachal Pradesh: ফের মেঘ ভাঙা বৃষ্টি, ১০০০ কোটির ক্ষতি শুধু উত্তরাখণ্ডেই
Red Alert in Himachal Pradesh: ক্ষতি হয়েছে কৃষিকাজে, ভেঙে পড়েছে সেতু, ভেসে গিয়েছে বাড়ি, বন্ধ হয়ে গিয়েছে রাস্তা। বিশেষ স্কিম ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

নয়া দিল্লি: প্রবল বৃষ্টি আর ধসে কার্যত ধ্বংসস্তূপের চেহারা নিয়েছে হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড। যে কোনও সময় বাড়ি ভেঙে পড়বে, এমন আশঙ্কায় প্রহর গুনছেন সে রাজ্যের বাসিন্দারা। জলের প্রবল গতিতে আস্ত গাড়িও ভেসে যেতে দেখা যাচ্ছে। এরই মধ্যে ফের বিপদ! বুধবার ফের মেঘ ভাঙা বৃষ্টি হল হিমাচলে। বৃষ্টির জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে একাধিক রাস্তা। নদীর জল বাড়তে বাড়তে ক্রমশ ভয়ঙ্কর আকার নিচ্ছে। আস্ত ব্রিজ যেভাবে চোখের সামনে ভেঙে পড়ছে, তাতে শিউরে উঠছেন হিমাচলবাসী। এরই মধ্যে সুবাথু এলাকায় মেঘ ভাঙা বৃষ্টি হওয়ার কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলেই আশঙ্কা প্রশাসনের।
বুধবার সকাল থেকে হিমাচল ও উত্তরাখণ্ডে বৃষ্টির খামতি নেই। দুই রাজ্যেই লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, এই পরিস্থিতি থেকে এখনই মুক্তি নেই। ভারী থেকে অতি ভারী, এমনকী প্রবল ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তাও দিয়েছে মৌসম ভবন। হিমাচল প্রদেশের অন্তত আটটি জেলায় হবে প্রবল ভারী বৃষ্টি। এছাড়া উত্তরাখণ্ডের যে সব জেলায় সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে, সেগুলি হল- দেরাদুন, তেহরি, পাউরি, উধম নগর, নৈনিতাল, চম্পাওয়াট ও বাগেশ্বর। বাকি জেলাগুলিতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জারি থাকবে হলুদ সতর্কতা।
দুই রাজ্যের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্কুল ও কলেজ বন্ধ রাখা হচ্ছে আপাতত। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি মঙ্গলবার জানিয়েছেন, গত কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টির জেরে অন্তত ১০০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে কৃষিকাজে, ভেঙে পড়েছে সেতু, ভেসে গিয়েছে বাড়ি, বন্ধ হয়ে গিয়েছে রাস্তা। পরিস্থিতি সামাল দিতে শীঘ্রই বিশেষ স্কিম ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
২৪ জুন বর্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র হিমাচলে মৃত্যু হয়েছে ২২৭ জনের। এখনও পর্যন্ত ৩৮ জনের কোনও খোঁজ নেই। ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গিয়েছে ১২ হাজার বাড়ি।
