কোটা: মেডিক্যালে প্রবেশিকার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। আচমকা নিখোঁজ। এক সপ্তাহ হয়ে গেল, কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বছর কুড়ির যুবতীর। ফের একবার সংবাদ শিরোনামে কোটা। উত্তর প্রদেশের কুশিনগরের বাসিন্দা তৃপ্তি সিং রাজস্থানের কোটায় গিয়েছিলেন মেডিক্যালের প্রস্তুতি নিতে। ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়েছিলেন। জানা যাচ্ছে, গত ২১ এপ্রিল সেখানে পরীক্ষাও দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর আর হোস্টেলে ফেরেননি। এভাবে দু’দিন কেটে যাওয়ার পর ২৩ তারিখ থানায় গিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি লেখান হোস্টেলের মালিক।
স্থানীয় থানার এক পুলিশ অফিসার জানান, ‘২৩ এপ্রিল পিজির মালিক এসে নিখোঁজ ডায়েরি করান। যুবতী ২১ এপ্রিল পরীক্ষা দিতে বেরিয়েছিলেন, তারপর থেকে আর ফেরেননি। আমরা নিখোঁজ ডায়েরি করেছি। যুবতীর পরিবারকেও জানানো হয়েছে। আমরা খোঁজ চালাচ্ছি, পড়ুয়ার বাড়ির লোকজনরাও খোঁজ চালাচ্ছেন।” পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই রেল স্টেশন, বাস স্টপগুলির সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে। উত্তর প্রদেশেও পুলিশের একটি দল পাঠানো হয়েছে কোটা থেকে।
মেডিক্য়াল ও ইঞ্জিনিয়ার প্রবেশিকার প্রস্তুতির জন্য একেবারে আদর্শ শহর বলা হয় রাজস্থানের কোটাকে। শহরের প্রতিটি কোনায়, প্রতিটি অলিতে গলিতে কোচিং ইনস্টিটিউট। আর পড়ুয়াদের হোস্টেল, মেস বাড়ি, পিজি। ওটিটি প্লাটফর্মে মুক্তি পাওয়া ‘কোটা ফ্যাক্টরি’ ওয়েব সিরিজে রাজস্থানের এই শহরের চিত্রকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল। বাড়ি-ঘর ছেড়ে, বাবা-মাকে ছেড়ে, কোটার সমুদ্রে এসে পড়া পড়ুয়াদের উপর যে প্রচণ্ড মানসিক চাপ থাকে, সে দৃশ্য নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ওই ওয়েব সিরিজে।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকেই বছর উনিশের আরও এক মেডিক্যালের প্রস্তুতিরত পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছিল। এই নিয়ে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাস থেকে অন্তত সাত জন কোচিং সেন্টারের পড়ুয়া আত্মঘাতী হয়েছে কোটায়। ২০২৩ সালে ছাত্র আত্মহত্যার সংখ্যা ছিল ২৬। এমনকী গত বছরে আত্মহত্যা রুখতে কোটার বিভিন্ন হোস্টেলগুলিতে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে অ্যান্টি সুইসাইড ডিভাইসও লাগানো হয়েছিল স্থানীয় প্রশাসনের তরফে।