Sameer Wankhede Case: এবার প্যাঁচে পড়লেন এনসিবি কর্তাই, সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আরও এক সাক্ষীর

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Oct 27, 2021 | 5:02 PM

Sameer Wankhede Case: এর আগে মুম্বই মাদককাণ্ডের মামলার অন্যতম সাক্ষী প্রভাকর সেইলও দাবি করেছিলেন যে, এনসিবি আধিকারিকেরা তাঁকে নিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়েছেন। 

Sameer Wankhede Case: এবার প্যাঁচে পড়লেন এনসিবি কর্তাই, সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আরও এক সাক্ষীর
মানহানির মামলা দায়ের করলেন ওয়াংখেড়ের বাবা। ফাইল চিত্র।

Follow Us

মুম্বই: মুম্বইয়ের প্রমোদতরীতে মাদক চক্রের (Mumbai Cruise Drug Case) তদন্তে প্রতিদিনই আসছে নতুন মোড়। এতদিন মাদককাণ্ডে আরিয়ান খানের (Aryan Khan) গ্রেফতারি নিয়ে গোটা ঘটনাচক্র আবর্তিত হলেও, বিগত এক সপ্তাহ ধরেই এনসিবি(NCB)-র জ়োনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে(Sameer Wankhede)-কে নিয়েও আলাদাভাবে বিতর্ক শুরু হয়েছে। প্রভার সেইল নামক এক ব্যক্তির পর এনসিবি কর্তার বিরুদ্ধে সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আনলেন আরও এক সাক্ষী।

মুম্বইয়ের খারঘর থেকে মাদক উদ্ধারের ঘটনায় এক নাইজেরিয়ার নাগরিককে গ্রেফতার করেছিলেন এনসিবির জ়োনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে। সেই তদন্তেই সাক্ষী হিসাবে পেশ করা হয়েছিল শেখর কাম্বলেকে। এদিন ওই ব্যক্তিই দাবি করেন যে, প্রভাকর সেইলের মতো তাঁকে দিয়েও ১০-১২ পাতা সাদা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছেন সমীর ওয়াংখেড়ে। কোনও কিছু হবে না বলে আশ্বস্তও করেছিলেন তিনি। সমীরের সঙ্গে যোগাযোগের প্রমাণ হিসাবে তিনি মোবাইলের কল রেকর্ডও দেখিয়েছেন।

শেখর কাম্বলে দাবি করেন, গতকাল রাতেই তিনি খবরে দেখেন খারঘরে ওই নাইজেরিয়ান ব্যক্তিকে গ্রেফতারি নিয়েও সংবাদ সম্প্রচার করা হচ্ছে। এরপরই তিনি ভয় পেয়ে যান। রাতেই অনিল মানে নামক এক এনসিবি অফিসার ফোন করেন এবং তাঁকে কারোর সঙ্গে কথা বলতে বারণ করেন। তিনি জানিয়েছেন, আশীষ রঞ্জন নামক এক এনসিবি আধিকারিক ওই মামলাটির তদন্ত করছিলেন।

এর আগে মুম্বই মাদককাণ্ডের মামলার অন্যতম সাক্ষী প্রভাকর সেইলও দাবি করেছিলেন যে, এনসিবি আধিকারিকেরা তাঁকে নিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়েছেন।  পরে তিনি জানতে পারেন ওই কাগজটি আদালতে পঞ্চনামা হিসাবে পেশ করেছে এনসিবি। কেপি গোসাভি নামক যে ব্যক্তির দেহরক্ষী হিসাবে তিনি কাজ করতেন, তাঁর ফোনালাপ শুনে ফেলার পরই হঠাৎ গায়েব হয়ে যাওয়ায় তিনি নিজের প্রাণের ভয়ও পাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনার হেমন্ত নাগরালেকে চিঠি লিখে গোটা বিষয়টি জানিয়েছেন।

প্রভাকরের দাবি, কিরণ গোসাভির পরিকল্পনা ছিল শাহরুখ খানের ম্যানেজার পুজা দাদলানি(Pooja Dadlani)-র সঙ্গে যোগাযোগ করা এবং তাঁর কাছ থেকে ২৫ কোটি টাকা দাবি করা। শেষ অবধি ১৮ কোটিতে রফা করার পরিকল্পনা ছিল তাদর। এরমধ্যে ৮ কোটি টাকাই দেওয়া হত এনসিবি আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়েকে, যিনি গোটা তদন্তটি পরিচালন করছেন।

সমীর ওয়াংখেড়ে সহ এনসিবি আধিকারিকরা ৩ অক্টোবরই ভোরবেলায় তাঁকে দিতে নয় পাতা সাদা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছিলেন। না জেনেই সাদা কাগজে সই কেন করলেন, সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে প্রভাকর সেইল বলেন, “আমার কোনও ধারণাই ছিল না যে আমায় সাক্ষী হিসাবে ডাকা হয়েছে। আমায় কাগজে সই করতে ডাকার পরই আমি এনসিবির অফিসের ভিতরে গিয়েছিলাম। আমি সই করতে অস্বীকার করায় সমীর ওয়াংখেড়ে আমায় আশ্বস্ত করে বলেন যে সই করতে, কিছু হবে না। কিরণ গোসাভিও আমায় সই করতে বললেন। এতজন অফিসার উপস্থিত ছিলেন, আমি কীভাবে তর্ক করতাম?”

আরও পড়ুন: Sonia Gandhi-Lalu Prasad Yadav: ‘কংগ্রেসের জোটে লাভ কী?’ বিস্ফোরক লালু, মান ভাঙাতে ফোন সনিয়ার 

Next Article