Sonia Gandhi-Lalu Prasad Yadav: ‘কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে লাভ কী?’ বিস্ফোরক লালু, মান ভাঙাতে ফোন সনিয়ার

Sonia Gandhi calls Lalu Prasad Yadav: পরিস্থিতি সামাল দিতেই এবার ময়দানে নামলেন কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী। তিনি নিজেই এদিন লালু প্রসাদ যাদবকে ফোন করেন।

Sonia Gandhi-Lalu Prasad Yadav: 'কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে লাভ কী?' বিস্ফোরক লালু, মান ভাঙাতে ফোন সনিয়ার
জোটসঙ্গীর মান ভাঙাতে ফোন সনিয়ার। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 27, 2021 | 2:52 PM

নয়া দিল্লি: তিনবছর বাদে বিহারের রাজনীতিতে ফিরতেই কংগ্রেসের (Congress) সঙ্গে জোট নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (RJD) নেতা লালু প্রসাদ যাদব (Lalu Prasad Yadav)। উপনির্বাচনের ক’দিন আগেই জোট যাতে ভেঙে না যায়, তার জন্য তড়িঘড়ি পুরনো সতীর্থ লালু প্রসাদকে ফোন করলেন কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)।

পশুখাদ্য দুর্নীতি মামলায় ২০১৭ থেকে জেলে থাকায় এবং পরবর্তী সময়ে শারীরিক অসুস্থতার কারণে দীর্ঘ সময় রাজনীতিতে সক্রিয় না থাকলেও, সম্প্রতি বিহারে নিজের বাড়িতে ফিরেই লালু কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। কংগ্রেসকে জোটসঙ্গী হিসাবে রেখে দলের কী লাভ হয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়েও যে চাপান-উতোর চলছে, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে লালু প্রসাদ বলেন, “কংগ্রেসের জোট কোথায়? আমরা কেন নিজেদের আসন কংগ্রেসকে দিয়ে দেব, যাতে ওরা সেই আসনেও হারে?” লালুর এই মন্তব্যের পরই শুরু হয়েছে তরজা।

তারাপুর ও কুশেশ্বর আস্তান-এই দুটি আসনে আগামী ৩০ অক্টোবর উপ-নির্বাচন রয়েছে। দুটি আসনেই আলাদাভাবে লড়ছে আরজেডি ও কংগ্রেস। এতেই জোটে আরও ফাটল ধরেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তার উপর লালু প্রসাদ যাদবের এই মন্তব্য সেই ভাঙনের দিকেই আরও স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছে।

এই পরিস্থিতি সামাল দিতেই এবার ময়দানে নামলেন কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী। তিনি নিজেই এদিন লালু প্রসাদ যাদবকে ফোন করেন। সূত্রের খবর, কংগ্রেসের অন্যতম পুরনো জোটসঙ্গীর হাত ছাড়ার আশঙ্কা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগে রয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী। তাই নিজেই সমস্ত দূরত্ব দূর করার কাজে নেমেছেন।

উল্লেখ্য, সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বরাবরই সুসম্পর্ক ছিল লালু প্রসাদ যাদবের। ২০০৪ সালে কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় আসে, তখন সনিয়া গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী পদে বসানোর দাবিতে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছিলেন লালু প্রসাদ যাদব। সনিয়ার ইটালিতে জন্মগ্রহণ নিয়ে বিরোধীরা নানা তির্যক মন্তব্য করলেও সমর্থন সরিয়ে নেননি আরজেডি নেতা।

সম্পর্কে তিক্ততা আসে ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরই। একক দল হিসাবে আরজেডি সর্বোচ্চ আসন পেলেও কংগ্রেস মাত্র কংগ্রেস ৭০ টি আসনের মধ্যে মাত্র ১৯টি জেতার কারণে বিরোধী দলের জায়গা পায় আরজেডি-কংগ্রেস জোট। এদিকে, বিজেপি-জেডিইউ এককভাবে তুলনামূলক কম ভোট পেয়েও এনডিএ জোটের বলে শাসকদলের গদিতে বসে। এরপর থেকেই কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন একাধিক আরজেডি নেতাই।

৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে গতকালই কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বরা বৈঠকে বসেছিলেন। সেই বৈঠকেই সনিয়া গান্ধী দলনেতাদের নিজেদের মধ্যে দূরত্ব সরিয়ে রেখে স্বচ্ছতা ও সংহতি আনার পরামর্শ দেন। একের পর এক রাজ্যে যেখানে দলের ভিতরেই যেখানে কলহ থামাতে  হিমশিম খাচ্ছে কংগ্রেস, সেখানে জোট ভাঙলে আরও বিপাকে পড়তে পারে দেশের প্রাচীনতম রাজনাতিক দল।

আরও পড়ুন: RSS in Meeting: বাংলাদেশে হিন্দু আক্রমণ, জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি সহ একাধিক ইস্যুতে বৈঠকে আরএসএস