অসম: অসমে নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ৭০ জনের মধ্যে খোঁজ মিলল আরও একজনের। ঘটনার তিন দিন পর উদ্ধার হল তাঁর দেহ। আজ সকালে কাজিরাঙ্গা জাতীয় অরণ্যের কাছে বিশ্বনাথ ঘাটের উত্তর দিক থেকে মেলে তাঁর নিথর দেহ। ঘাটের কাছে পাওয়া যায় মৃতের মানি ব্যাগ। সেই মানি ব্যাগের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় তাঁর পরিচয়পত্র। অন্যান্যদের উদ্ধারের জন্য এখনও খোঁজ চালানো হচ্ছে।
৮ সেপ্টেম্বর বুধবার অসমের জোরহাটের মাজুলি এলাকায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। ব্রক্ষ্মপুত্র নদে দুই নৌকার মুখোমুখি সংঘর্ষ মৃত্যু হয় একজনের। নিখোঁজ হয়ে যান প্রায় ৭০ জন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকাল চারটার সময় নৌকাটি ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। তার আগেই বড় নৌকাটি চলে আসে। সেটি ঘাটে দাঁড়ানোর সময় ধাক্কা মারে ‘মা কমলা’ নামের নৌকাটিকে। সঙ্গে সঙ্গেই ওই নৌকাটি উল্টে যায়। দুই নৌকা মিলিয়ে প্রায় ১২০ জন যাত্রী ছিলেন। লঞ্চটি সজোরে ধাক্কা মারায় জলে ছিটকে পড়ে যান তারা। নৌকায় থাকা সাইকেল, মোটরসাইকেল-সহ প্রায় ৩৫টি যানবাহনও ডুবে যায়।
দুর্ঘটনাটি ঘটার পরই কিছুজন যাত্রী সাঁতরে পাড়ে উঠে আসতে পারলেও বাকিরা নদীতেই হাবুডুবু খেতে থাকেন। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারা নদীর জলে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তারাও কিছুজন যাত্রীকে উদ্ধার করে পাড়ে তোলেন। খবর দেওয়া হয় প্রশাসনে, কিছুক্ষণের মধ্যেই এনডিআরএফ বাহিনী এসে উদ্ধারকার্য শুরু করে।
বুধবার ৪০ জনকে উদ্ধার করা হলেও নিখোঁজ যাত্রীরা ভেসে গিয়েছেন বলেই আশঙ্কা। তখনই অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এরপর আজ বিশ্বনাথ ঘাটের পাশ থেকে উদ্ধার হয় দেহ।
উল্লেখ্য,দুটি নৌকা মিলিয়ে প্রায় ১২০ জন যাত্রী ছিলেন। নৌকায় থাকা সাইকেল, মোটরসাইকেল-সহ প্রায় ৩৫টি যানবাহনও সেই দিন ডুবে যায় বলে খবর। ঘটনাটির কিছুদিন আগে থেকেই ব্রহ্মপুত্রের জলস্তর বাড়ার জন্য সতর্কতা হিসাবে ৫ দিন ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। এরপর ফেরি চলাচল শুরু হতেই এই দুর্ঘটনা হয়। এদিন ওই নৌকাটি ডুবে যাওয়ার পরে কয়েকজন যাত্রী সাঁতরে পাড়ে উঠে এলেও অধিকাংশ যাত্রীই নিখোঁজ বলে খবর।
আরও পড়ুন:মহারাষ্ট্র সরকার হিন্দু বিরোধী, তোপ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী