নয়া দিল্লি: সাম্প্রতিককালে একাধিক ঘটনায় শিরোনামে এসেছে সন্ত্রাস-বিরোধী আইন বা ইউএপিএ। কিছুদিন আগেই এই ধারায় অভিযুক্ত স্ট্যান স্বামীর মৃত্যু হয়েছে বন্দি অবস্থায়। সেই আইন নিয়েই তাৎপর্যপূূর্ণ মন্তব্য করলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। ভারত-আমেরিকার এক দ্বিপাক্ষিক অনুষ্ঠানে সেই আই্ন প্রসঙ্গে বিচারপতি বলেন, ‘বিরোধিতাকে প্রশমিত করতে বা কোনও নাগরিককে হেনস্থা করতে এই আইনের ব্যবহার উচিৎ নয়।’ তিনি আরও বলেন ‘একদিনের জন্য কারও স্বাধীনতা খর্ব হওয়াও অনেক।’
আমেরিকা ও ভারতের আইনি সম্পর্ক সংক্রান্ত এক অনুষ্ঠানে এই বিষয়টি তুলে ধরেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। এই প্রসঙ্গে সাংবাদক অর্ণব গোস্বামীর বিরদ্ধে হওয়া মামলার উল্লেখ করেন তিনি। এ ক্ষেত্রে আদালতের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেও মন্তন্য করেন তিনি। ভারত ও আমেরিকার যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আমেরিকার আইনের প্রশংসা করে বিচারপত বলেন, স্বাধীন চিন্তা, বাক-স্বাধীনতা বা ধর্মীয় শান্তির ক্ষেত্রে আমেরিকাই পথ প্রদর্শক।’
শুধু স্ট্যান স্বামী নয়, এই আইনে অভিযুক্ত হিসেবে অনেকেই জেলবন্দি থেকেছেন। অসমের নেতা অখিল গগৈ দেয বছর জেলে কাটিয়ে সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছেন। নাগরিকত্ব বিল বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় এই আইনে অভিযুক্ত হন তিনি। জেল থেকে মুক্তি পেয়েই তিনি সন্ত্রাস বিরোধী বা ইউএপিএ আইনের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। কাশ্মীরের এক ব্যক্তিও সদ্য এই অভিযোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন। ১১ বছর আইনি লড়াইয়ের পর জানা গিয়েছে তিনি নির্দোষ।
পাশাপাশি ভারতের আইনে আমেরিকার প্রভাবের কথাও উল্লেখ করেন বিচারপতি। এই প্রসঙ্গে তিনি জভতেজ জোহর মামলার কথা উল্লেখ করেছেন। যেখানে সমলিঙ্গের সম্পর্ক অপরাধ নয় বলে উল্লেখ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই মামলায় তিনি ইউএস সুপ্রিম কোর্টের একটি মামলা ও ইউরোপের মানবাধিকার আইনের ওপর পর্যবেক্ষণ দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন বিচারপতি। আরও পড়ুন: লক্ষ্য ২০২৪! রাহুল গান্ধীর বাড়িতে হাজির প্রশান্ত কিশোর