বারাণসী: জ্ঞানব্যাপী মসজিদের নীচে মিলল হিন্দু মন্দিরের অস্তিত্ব। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার সমীক্ষা উল্লেখ করে এমনটাই দাবি করলেন হিন্দু পক্ষের আইনজীবী। উত্তর প্রদেশের বারাণসীতে অবস্থিত জ্ঞানব্যাপী মসজিদে সপ্তদশ শতাব্দীর হিন্দু মন্দিরের অস্তিত্ব রয়েছে, এমনটাই দাবি জানিয়ে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছিল। এরপরই নৃতত্ত্ব সমীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়। ২০২৩ সালে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা হয় জ্ঞানব্যাপী মসজিদে। সেই রিপোর্টই পেশ করা হয় বৃহস্পতিবার।
সাংবাদিক বৈঠক করে বৃহস্পতিবার হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈন আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার রিপোর্ট পড়েন। তিনি জানান, এএসআই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে জ্ঞানব্যাপী মসজিদের নীচে বড় আকারের হিন্দু মন্দিরের কাঠামো রয়েছে। ওই মন্দিরের কাঠামোর উপরই তৈরি হয়েছে বর্তমানের জ্ঞানব্যাপী মসজিদ। এই মসজিদের দেওয়ালেও হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন চিহ্নের অস্তিত্ব রয়েছে।
এএসআই রিপোর্ট পড়ে হিন্দু ধর্মের আইনজীবী বলেন, “এএসআই রিপোর্টে বলা হয়েছে হিন্দু মন্দিরের কাঠামো ও স্তম্ভগুলিকে ব্য়বহার করেই মসজিদ তৈরি করা হয়েছে। হিন্দু মন্দিরের পিলার বা স্তম্ভে প্লাস্টার করে পরিকাঠামোয় সামান্য পরিবর্তন করা হয়েছে। হিন্দু মন্দিরের স্তম্ভে যে খোদাইগুলি ছিল, সেগুলিরও অস্তিত্ব মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল।”
আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈন জানান, মসজিদের দেওয়ালেও হিন্দু মন্দিরের অস্তিত্বের প্রমাণ মিলেছে। দেওয়ালে বেশ কিছু হরফ খোদাই রয়েছে, যেগুলি দেবনগরী, তেলুগু, কন্নড় ও অন্যান্য ভাষায় লেখা। তিনি বলেন, “আর্কিওলজিক্যাল সমীক্ষার সময়ে বর্তমান কাঠামো ও পূর্ববর্তী কাঠামোয় একাধিক খোদাই হরফের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। সমীক্ষা চলাকালীন ৩৪টি লিপি রেকর্ড করা হয়েছে। পাথরের উপরে যে খোদাই রয়েছে, তা প্রমাণ করছে এখানে হিন্দু মন্দির ছিল। যা নতুন কাঠামো (জ্ঞানব্যাপী মসজিদ) তৈরির সময় পুনর্ব্যবহার ও পরিবর্তন করা হয়েছে। পুরোনো কাঠামো ভেঙে, তার পুনর্ব্যবহার করে নতুন কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। জনার্দন, রুদ্র ও উমেশওয়ারার মতো দেবতার নামের উল্লেখ পাওয়া গিয়েছে ওই শিলালিপিতে।”
আগেই এএসআই রিপোর্টের উপরে ভিত্তি করে বারাণসী আদালতের রায়ে বলা হয়েছিল, জ্ঞানব্যাপী মসজিদ হিন্দু ও মুসলিম উভয় পক্ষকেই দিতে হবে।