Supreme Court on Ration Card: সুপ্রিম কোর্টে রেশন-মামলা, যোগ্যদের খাবার ‘লুটেপুটে’ খাচ্ছে অযোগ্যরা? উদ্বেগ প্রকাশ বিচারপতির

Supreme Court on Ration Card: এরপর আদালতের পর্যবেক্ষণ, 'দরিদ্ররা যাতে তাদের অধিকারের রেশন পায়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি, রেশন কার্ড ইস্যু করার ক্ষেত্রে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দূরে সরিয়ে রাখাটাই কাম্য।'

Supreme Court on Ration Card: সুপ্রিম কোর্টে রেশন-মামলা, যোগ্যদের খাবার লুটেপুটে খাচ্ছে অযোগ্যরা? উদ্বেগ প্রকাশ বিচারপতির
সুপ্রিম কোর্টImage Credit source: Getty Image

|

Mar 19, 2025 | 8:09 PM

নয়াদিল্লি: রেশন তুমি কার? দেশের দরিদ্র ও দরিদ্র সীমার নীচে থাকা মানুষদের জন্য চালু হয়েছিল রেশন প্রকল্প। ব্রিটিশ শাসনকালে বুভুক্ষের বাংলায় আসা রেশন স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে হয়ে উঠেছিল দেশের পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার অন্যতম হাতিয়ার। কিন্তু স্বাধীনতার সাত দশকের বেশি সময় কাটিয়েও আজ প্রশ্নের মুখে দেশের রেশন ব্যবস্থা।

বিভিন্ন রাজ্য থেকে নানা সময়েই উঠে এসেছে রেশন চুরির ঘটনা। গরিবের ‘ভাত’ মেরে চলেছে দুর্নীতি, অভিযোগ উঠেছে এমনটাও। এবার সেই রেশন কার্ডের অপব্যবহারের সম্ভবনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ দেশের শীর্ষ আদালতের।

করোনার সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের রেশন-সমস্যা নিয়ে একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। বুধবার ছিল সেই মামলারই শুনানি। বিচারপতি সূর্য কান্ত ও এন কোটিশ্বর সিংয়ের ডিভিশন বেঞ্চে চলে এই মামলার শুনানি।

শুনানি চলাকালীন আইনজীবি প্রশান্ত ভূষণ দাবি করেন, পরিযায়ী শ্রমিকরা রেশন পাওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্য হলেও, নানা অজুহাতে সেই রেশন তাদের কাছে এসে পৌঁছছে না। এরপর রেশন কার্ডের অপব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় খোদ শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতিকে।

বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেন, ‘আমাদের উদ্বেগের জায়গা একটাই, রেশন পাওয়ার যোগ্য যারা, তাদের রেশন কি পৌঁছে যাচ্ছে অযোগ্যদের কাছে? রাজ্যগুলিকে মাঝে মধ্য়েই বলতে দেখা যায়, আমরা এত রেশন কার্ড তৈরি করেছি। আমাদের রাজ্যে এত সংখ্যক মানুষের আয় বেড়েছে, তারপরেও কিন্তু রাজ্যগুলিতে গড়ে বিপিএল বা রেশনের যোগ্য প্রাপক (যা দারিদ্রসীমার ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়) প্রায় ৭৫ শতাংশ। সংশয়টা এখানেই। তবে কি রেশন কার্ডের অপব্যবহার চলছে?’

বিচারপতির সংশয়ের ভিত্তিতে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ দাবি করেন, ‘কেন্দ্রের eSHRAM পোর্টাল অনুযায়ী দেশে ৩০ কোটির বেশি পরিযায়ী শ্রমিক। যার মধ্যে আট কোটিরও বেশি শ্রমিকের রেশন কার্ডই নেই। কারণ তারা আশা রাখেন না যে তারা রেশন পাবেন না।’

এরপর আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘দরিদ্ররা যাতে তাদের অধিকারের রেশন পায়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি, রেশন কার্ড ইস্যু করার ক্ষেত্রে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দূরে সরিয়ে রাখাটাই কাম্য।’ এদিনের শুনানিতে কেন্দ্রের তরফে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটিও। তিনি জানান, ‘জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় আপাতত দেশের ৮১ কোটি ৩৫ লক্ষ মানুষ এই রেশনের সুবিধা পাচ্ছেন।’