নয়াদিল্লি: দশক কাটিয়েও দুই দেশের মধ্যে মিটল না ফাটল। এক টুকরো জমি নিয়ে আজও যুযুধান ভারত-পাকিস্তান। বুধবার কাশ্মীর ইস্যুতে নতুন করে উত্তপ্ত দুই দেশ। তোপ-পাল্টা তোপ। পারদ চড়ল বিশ্ব রাজনীতির।
ঘটনা ঠিক কী?
গোটা ঘটনার সূত্রপাত রবিবারের একটি সাক্ষাৎকার। সেদিন সন্ধেয় মার্কিন পডকাস্টার লেক্স ফ্রিডম্যানের সঙ্গে মুখোমুখি বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই পডকাস্টে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে করা সমস্ত শান্তি চুক্তি দিন শেষে সন্ত্রাস ও বিশ্বাসঘাতকতায় পরিণত হয়েছে। তবে আশা রাখি, তাদের নেতৃত্বের সদবুদ্ধি উদয় হবে।’
রবির সন্ধেয় মোদীর খোঁচা ভালই বিঁধেছিল পাকিস্তানকে। তাই তড়িঘড়ি পরদিনই , সেদেশে বিদেশমন্ত্রক তরফে একটি বিবৃতি জারি করে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যকে ‘বিভ্রান্তিকর ও এক পাক্ষিক’ বলে দাগিয়ে দেয় তারা। সেই বিবৃতিতে তাদের আরও অভিযোগ, ‘কাশ্মীর ইস্যুতে আশ্বাস জোগালেও সেই অঞ্চলের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিকে শান্ত করার জন্য কোনও পদক্ষেপই নেয়নি ভারত।’
এই বিবৃতির পরেই দুই দেশের মধ্য়ে চড়ে পারদ। মঙ্গলবার রাইসিনা সংলাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তোপ দেগে অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে সরব হন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তাঁর কথায়, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে অন্য কোনও দেশের ভিতরে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে অবৈধভাবে ঘাঁটি বেঁধে রাখার উদাহরণ কিন্তু রয়েছে ভারতের কাশ্মীরেই।’
বুধবার জয়শঙ্করের দেখাদেখি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। তিনি বলেন, ‘এই বিশ্ব খুব ভাল করেই জানে যে পাকিস্তানে কীভাবে সীমান্তে সন্ত্রাসকে ব্যবহার করে ও সেটিকে মদত জোগায়। এমনকি দুই দেশের মধ্যে শান্তি বজায় রাখার ক্ষেত্রে সব থেকে বড় বাধা তারাই। তাদের উচিত বছর বছর ধরে অবৈধ ভাবে দখল করে রাখা ভারতীয় ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়া।’