নয়াদিল্লি: সংসদে সংবিধান বিতর্কে ভারতের গণতন্ত্রের গরিমা তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সংসদে ২ দিনের সংবিধান বিতর্কে শনিবার বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, ভারত গণতন্ত্রের জননী। ভারতের অর্থনীতির বৃদ্ধির কথাও তুলে ধরেন নিজের বক্তব্যে। জম্মু ও কাশ্মীরে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের কারণও এদিন ব্যাখ্যা করেন প্রধানমন্ত্রী।
সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে ২ দিনের সংবিধান বিতর্ক গতকাল শুরু হয়। একাধিক সাংসদ বক্তব্য রাখেন। সেখানে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছে বিরোধীদের। জবাব দিয়েছে বিজেপি ও তার শরিকরা।
এদিন সংসদে সংবিধান বিতর্কে অংশ নিয়ে একের পর এক ইস্যু তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী বলেন, “ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র। শুধু তাই নয়, ভারত গণতন্ত্রের জননী।” জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ” দেশের একতা আমাদের প্রাধান্য। সেই একতায় বাধা ছিল সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ। দেশে একতার জন্য ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করা হয়েছে।”
এদিন আয়ুষ্মান ভারতের প্রসঙ্গও তোলেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “এক দেশ এক স্বাস্থ্য কার্ডের জন্য আয়ুষ্মান ভারতের সূচনা করা হয়েছে। যাতে বিহারের কোনও ব্যক্তি দিল্লিতে চিকিৎসা করাতে পারেন।”
নতুন শিক্ষানীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নতুন শিক্ষানীতির ফলে এখন যেকোনও পড়ুয়া নিজের মাতৃভাষাতেই পিএইচডি করতে পারেন।”
১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থার প্রসঙ্গ টেনে কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেন মোদী। বলেন, “১৯৭৫ সালে সাংবিধানিক ব্যবস্থাকে শেষ করে দেওয়া হয়েছিল। নাগরিকদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। কংগ্রেসের মাথায় যে এর পাপ, তা কখনও মিটবে না। কারণ, গণতন্ত্রের গলা টিপে ধরা হয়েছিল।”
সংবিধানের শক্তির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমার কোনও ব্যাকগ্রাউন্ড ছিল না। তাহলে কীভাবে আসতাম? আমার মতো অনেকে রয়েছেন, যাঁদের কোনও ব্যাকগ্রাউন্ড নেই। তাঁরা এখানে কী করে আসতেন? এটা আমাদের সংবিধানের জন্য সম্ভব হয়েছে।”
নাম না করে গান্ধী পরিবারকে তীব্র আক্রমণ করলেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, “কংগ্রেসের এক পরিবার সংবিধানকে আঘাত করতে কোনও কসুর ছাড়েনি। আমাদের দেশের ৭৫ বছরের মধ্যে ৫৫ বছর একটা পরিবারই শাসন করেছে। এই পরিবারের কুনীতি চলছে।”