নয়া দিল্লি: দিল্লির আমলাদের ওপর কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণ আটকাতে মরিয়া আম আদমি পার্টি। রাজ্যসভায় যাতে সেই অধ্যাদেশ পাস না হয়, তার জন্যই আপাতত বিরোধী দলগুলির সমর্থন খুঁজছেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরীবাল। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার ও শিব সেনা সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দেখা করার পর এবার কংগ্রেসকেও পাশে চান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার সকালেই রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করার সময় চেয়েছেন তিনি। শুধু রাহুল গান্ধীই নয়, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গেও দেখা করতে চান তিনি।
শুক্রবার টুইট করে একথা জানিয়েছেন কেজরীবাল। তিনি জানিয়েছেন, অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের সমর্থন চান তিনি। পাশাপাশি, সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন তিনি।
Sought time this morning to meet Cong President Sh Kharge ji and Sh Rahul Gandhi ji to seek Cong support in Parl against undemocratic n unconstitutional ordinance passed by BJP govt and also to discuss general assault on federal structure and prevailing political situation
— Arvind Kejriwal (@ArvindKejriwal) May 26, 2023
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, দিল্লির আমলাদের নিয়োগ এবং বদলির বিষয়ে একমাত্র সিদ্ধান্ত নেবে দিল্লির নির্বাচিত সরকার। একটি গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় প্রশাসনের ক্ষমতা নির্বাচিত সরকারের হাতে থাকবে বলেই জানিয়েছিল শীর্ষ আদালত। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্দেশ দেওয়ার পর বিজেপি আমলাদের নিয়ন্ত্রণ হাতে রাখতে একটি অর্ডিন্যান্স এনেছে। ন্যাশনাল ক্যাপিটাল সিভিল সার্ভিস অথরিটি তৈরির প্রস্তাব এনেছে বিজেপি। এই অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী, আমলাদের নিয়োগ ও বদলির সিদ্ধান্ত নেবে ওই অথরিটি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিকে সেই অথরিটিতে রাখা হয়েছে। কমিটির চেয়ারপার্সন হবেন মুখ্যমন্ত্রী। সমস্ত সদস্যদের মধ্যে ভোটের মাধ্যমে যে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে কমিটির সদস্যরা সহমত হতে না পারলে লেফটেন্যান্ট গভর্নরই শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন।
এই অর্ডিন্যান্স আটকাতেই তৎপর কেজরীবাল এবার দেখা করবেন কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে। গত চলতি সপ্তাহেই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে দেখা করেছেন কেজরীবাল সহ আপ নেতারা। অধ্যাদেশের ক্ষেত্রে আপকে সমর্থন করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন মমতা। গণতন্ত্রকে বাঁচানোর প্রশ্নে পাওয়ারও সমর্থন করার কথা জানিয়েছেন। এবার পালা কংগ্রেসের। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে কেজরীবালের পরপর এইসব বৈঠক যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।