Arvind Kejriwal On Gujarat Schools : ‘৬ হাজার স্কুল বন্ধ হয়েছে,’ মোদী রাজ্যে শিক্ষাব্যবস্থার ‘বেহাল’ দশা নিয়ে তোপ কেজরীর
Arvind Kejriwal : গুজরাত নির্বাচনের লক্ষ্যে এখন থেকেই ময়দানে নেমে পড়েছেন আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীবাল। তিনি এদিন জনসভা থেকে গুজরাতে শিক্ষাব্যবস্থার বেহাল দশা নিয়ে তোপ দাগেন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে।
গান্ধীনগর : দিল্লির মুখ্য়মন্ত্রী কেজরীবালের (Delhi CM) ‘দিল্লি মডেল’ (Delhi Model) লোকমুখে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই পঞ্জাবেও দিল্লির আদলে শিক্ষাব্যবস্থাকে সাজানোর কথা বলা হয়েছে। সেই ‘দিল্লি মডেলের’ রূপকার অরবিন্দ কেজরীবালের (Arvind Kejriwal) বাণে এবার বিদ্ধ গুজরাতের শিক্ষাব্যবস্থা। তিনি রবিবার গুজরাতের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে তোপ দাগেন এরাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলকে (Bhupednra Patel)। এর পাশাপাশি তিনি নিজ রাজ্য়ের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নের ফিরিস্তিও তুলে ধরেন। শুধুমাত্র তাই নয়, বর্তমান সরকারের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তিনি গুজরাতবাসীর কাছে অনুরোধ করেন যাতে আম আদমি পার্টিকে (Aam Aadmi Party) রাজ্যে একবার সুযোগ দেওয়া হয়।
ডিসেম্বরেই বিধানসভা নির্বাচন মোদী-শাহের রাজ্য গুজরাতে। এদিকে এখন থেকেই রীতিমতো কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছে আপ প্রধান কেজরীবাল। তিনি এদিন গুজরাতে একটি জনসভাও করেন। পঞ্জাবে জয়ের পর গুজরাতেই প্রথম কেজরীবালের জনসভা। সম্প্রতি আগামী গুজরাত বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে একটি সমীক্ষা প্রকাশ করেছিল আপ। সেই সমীক্ষায় উঠে এসেছে ২২ এর গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে ১৮২ টি আসনের মধ্যে ৫৮ টি আসন পাবে আপ। মূলত গ্রামের ভোটার ও শহুরে এলাকার নিম্ন ও মধ্যবিত্ত জনসংখ্যাই আপের পক্ষে ভোট দেবে বলে জানা গিয়েছে এই সমীক্ষা থেকে। মোদী রাজ্যে দাঁত ফোটাতে সেই রাজ্যের খুঁত তুলে ধরলেন কেজরীবাল। তিনি এদিন বলেছেন, “গুজরাতে ৬ হাজারটি সরকারি স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাকি অনেক স্কুলই জরাজীর্ণ অবস্থা। লক্ষ লক্ষ ছেলেমেয়ের ভবিষ্যতের বিঘ্ন ঘটছে। আমরা এই ভবিষ্যতের পরিবর্তন করতে পারি। যেভাবে আমরা দিল্লির স্কুলের পরিবর্তন করেছি।”
গুজরাতের মুখ্য়মন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেছেন, “গুজরাতে যেকোনও পরীক্ষার সময় প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার ক্ষেত্রে বিজেপি বিশ্ব রেকর্ড করবে। আমি গুজরাত মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করছি একটি পরীক্ষাও প্রশ্নপত্র ফাঁস না করে সংঘটিত করে দেখান।” তিনি তারপর জনগণের উদ্দেশে বলেছেন, “আমাদের একটি সুযোগ দিন। আমি যদি এই সুযোগে স্কুলের অবস্থার উন্নতি না করতে পারি আপনারা আমাকে লাথি মেরে বের করে দিতে পারেন।” তিনি এরপর দিল্লি মডেলের খতিয়ান দিয়ে বলেন, দিল্লিতে ৪ লক্ষ পড়ুয়া বেসরকারি স্কুল ছেড়ে দিল্লি সরকারের স্কুলে ভর্তি হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন যে, দিল্লিতে দরিদ্র ও ধনী- উভয় শ্রেণির ছেলেমেয়েরা একসঙ্গে পড়াশোনা করছে। বর্তমানে দিল্লিতে ৯৯.৭ শতাংশ পাশের হার। উল্লেখ্য, আপ প্রধান কেজরীবাল যে গুজরাতের আদিবাসী সম্প্রদায়কে ভোটের নিশানা করে এগোচ্ছেন তা তাঁর কথায় আবারও স্পষ্ট হয়ে যায় এদিন। তিনি বলেছেন, “বিজেপি ও কংগ্রেস ধনীদের সঙ্গে রয়েছে। তাঁরা ধনীদের আরও ধনী বানাচ্ছেন। কিন্তু আমি এখানে জানাতে এসেছি যে আমরা গরিবদের পাশে আছি।” তাঁর আরও সংযোজন, “আদিবাসীদের দীর্ঘদিন ধরে শোষণ করা হচ্ছে। তাঁরা প্রথমে ব্রিটিশদের দ্বারা শোষিত হয়েছিল এবং তাঁরা এখনও শোষিত হচ্ছে…আমরা সাধারণ মানুষের দল, ধনী নয়।”
