AAP MLA Poaching : ‘৪০ বিধায়ককে টোপ বিজেপির’, সদলবলে রাজঘাটে প্রার্থনা কেজরীবালের

TV9 Bangla Digital | Edited By: অঙ্কিতা পাল

Aug 25, 2022 | 6:37 PM

AAP MLA Poaching : বিজেপির বিরুদ্ধে আপ বিধায়কদের ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছিল আপের তরফে। কিন্তু বিজেপি সেই উদ্দেশ্যে সফল হয়নি এই বলে রাজঘাটে সদলবলে প্রার্থনা করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল।

AAP MLA Poaching : ৪০ বিধায়ককে টোপ বিজেপির, সদলবলে রাজঘাটে প্রার্থনা কেজরীবালের
ছবি সৌজন্যে : টুইটার (Arvind Kejriwal)

Follow Us

 নয়া দিল্লি : দিল্লিতেও কি শুরু হয়েছে ‘অপারেশন লোটাস’? এমনই দাবি অরবিন্দ কেজরীবাল এবং তাঁর দলের। এই আবহে আজ দিল্লিতে দলীয় বিধায়কদের ‘জরুরি’ বৈঠক ডেকেছিলেন অরবিন্দ কেজরীবাল। তাঁর দলের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, প্রতি বিধায়ক পিছু ২০ কোটি টাকা দিয়ে দল ভাঙাতে চেয়েছে বিজেপি। তবে সেই ‘অপারেশন লোটাসে’ নাকি তারা ‘বিফল’। এই আবহে রাজঘাটে প্রার্থনায় বসলেন অরবিন্দ কেজরীবালরা। অরবিন্দ কেজরীবালের ডাকা বৈঠকে আম আদমি পার্টির ৬২ বিধায়কের মধ্যে ৫৩ জন উপস্থিত ছিলেন। আম আদমি পার্টির অন্তত ১২ জন দাবি করেছিলেন যে তাঁদের বিজেপি নিজেদের দলে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল।

এদিকে অরবিন্দ কেজরীবালের সঙ্গে বৈঠকের পর বিধায়করা দল বেঁধে রাজঘাটে যান। সেই সময় সাংবাদিকদের অরবিন্দ কেজরীবাল বলেন, ‘আমি শুনেছি যে ৪০ বিধায়ককে ঘুষ দিয়ে বিজেপি নিজেদের দলে নিতে চাইছে। তবে আমি খুশি যে কোনও বিধায়ক তাদের টোপে পা দেননি।’ এদিকে সকালের দিকে আম আদমি পার্টির শীর্ষ নেতৃত্বের হৃদস্পন্দন নিশ্চয় বেড়ে গিয়েছিল। বহু বিধায়কেরেই ‘খোঁজ’ মিলছিল না। এরপরই জল্পনা তৈরি হয়েছিল। পরবর্তীতে অবশ্য আম আদমি পার্টির তরফে দাবি করা হয় যে সব বিধায়কের সঙ্গেই যোগাযোগ করা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ৭০ সদস্যের দিল্লি বিধানসভায় আম আদমি পার্টির সদস্য সংখ্যা ৬২। তবে ৪০ জনকে নাকি বিজেপি ভাঙাতে চাইছে। দল ভাঙানো নিয়ে প্রথম অভিযোগ তুলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিলেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। তিনি দাবি করেছিলেন তাঁকে বিজেপি প্রস্তাব দিয়েছিল যে তিনি যদ দল ভাঙিয়ে আনেন তাহলে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে। পাশাপাশি সিবিআই-এর মামলাও প্রত্যাহার করা হবে। যদিও বিজেপির তরফে সিসোদিয়ার সেই দাবি উড়িয়ে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, বর্তমানে দিল্লি আবগারি নীতি নিয়ে সিবিআই তদন্ত শুরু হয়েছে। দিল্লি লেফটেন্যান্ট গভর্নরের নির্দেশেই এই তদন্ত শুরু হয়েছে। তারপরই এই ইস্যুতে রাজনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে আম আদমি পার্টি ও বিজেপির মধ্যে। এর কয়েকদিন আগেই গুজরাটে গিয়ে অরবিন্দ কেজরীবাল দাবি করেছিলেন যে মণীশকে তিনদিনের মধ্যে গ্রেফতার করা হতে পারে। আর তারপরই সিসোদিয়া দাবি করেছিলেন যে তাঁকে দলবদলের টোপ দেওয়া হয়েছিল। এই আবহে এখন আম আদমি পার্টি ‘অপারেশন লোটাসে’র ইস্যু তুলে রাজনৈতিক আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি করছে।

Next Article