নয়া দিল্লি: আরব সাগরে আরও ঘনীভূত হচ্ছে নিম্নচাপ। রবিবারই তা টাইকটে ঘূর্ণিঝড় হিসাবে আছড়ে পড়তে পারে, এমনটাই ইঙ্গিত মৌসম ভবনের।
লাক্ষাদ্বীপ ও পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগবৃরের উপর তৈরি হওয়া এই নিম্নচাপের অবনস্থান এখনও একরই থাকলেও রবিবার তা ঘনীভূত হয়ে ধীরে ধীরে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোতে থাকবে। এর প্রভাবে বিকেলের মধ্যেই গুজরাট এবং পার্শ্বর্তী পাকিস্তান উপকূলে পৌছে যাবে এই ঘূর্ণিঝড়। এর প্রভাবে গুজরাট সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলিতেও ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
মৌসম ভবন সূত্রে খবর, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হবে। ফলে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আছড়ে পড়তে পারে তাইকুটে। আগামী ১৮ মে তা আরও ঘনীভূত হয়ে গুজরাট উপকূলে পৌঁছবে।
ক’দিন আগেই মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়, আরব সাগরের উপর একটি নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়েছে। যার জেরে পশ্চিম ভারত এবং দক্ষিণ ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে আগামী ১৬ মে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে। এর জেরে ঝোড়ো হাওয়া সহ ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানায় মৌসম ভবন।
চলতি বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে উপকূল বাহিনীকে। সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মৎসজীবীদেরও। মূলত কেরল-সহ গোয়া, এবং গুজরাটের উপকূলবর্তী এলাকায় এই ঘর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে। এই রাজ্যগুলির একাধিক এলাকায় জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতাও। নিম্নচাপের জেরে ১৫ মে থেকেই কেরলে বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে।
তবে এই ঘূর্ণিঝড় সুপার সাইক্লোন আমফানের মতো রূপ ধারণ করবে কিনা, তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। এই বিষয়ে ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিকর্তা সুনীতা দেবী জানান, এটি আমফানের আকার ধারণ করবে কিনা, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। বর্তমানে বলা যাচ্ছে না ঘূর্ণিঝড় কতটা তীব্র হবে বা এর ভয়াবহতাই বা কতটা গুরুতর হবে। তবে বর্তমান সামুদ্রিক ও আবহাওয়া পরিস্থিতি নিম্নচাপ আরও গভীর যাতে হতে পারে, সেই অনুরূপই রয়েছে।
আরও পড়ুন: কোভিশিল্ডের ডোজ়ের ব্যবধান বাড়তেই ৩ দিনের জন্য ৪৫ উর্ধ্বদের টিকাকরণ বন্ধের সিদ্ধান্ত গুজরাটে