ঋষিকেশ: তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী। গুজরাটের রেল স্টেশনে চা বিক্রেতা থেকে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও পরে দেশের প্রধানমন্ত্রী- এই সুদীর্ঘ পথচলার দু’দশক পূর্তিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) জানালেন, তিনি কখনও ভাবতেই পারেননি যে দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন।
বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে ৩৫টি রাজ্যে ৩৫টি পিএসইউ অক্সিজেন প্ল্যান্ট(PSU Oxygen Plant)-র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ঋষিকেশে ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়েই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বহু দশক আগে আমার জনসেবার কাজ শুরু হয়েছিল। ২০০১ সালে আমি গুজরাটের মুখ্য়মন্ত্রী হই এবং পরে জনসমর্থনে দেশের প্রধানমন্ত্রীও হই। তবে সত্যি বলতে, আমি কখনও স্বপ্নও দেখিনি যে আমি দেশের প্রধানমন্ত্রী হব একদিন।”
ঋষিকেশের মতো দেবভূমি থেকেই তিনি প্রশাসক জীবনের ২১ বছরে পা দিতে চলেছেন, এই কথায় তিনি অন্ত্যন্ত খুশি প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “আজ থেকে নবরাত্রির উৎসবও শুরু হচ্ছে। আজ প্রথম দিনে মা শৈলপুত্রীকে পূজা করা হয়। মা শৈলপুত্রী হিমালয়ের মেয়ে আর আজ আমি এখানে এসেছি, এখানে এসে এই মাটিকে অভিবাদন জানাচ্ছি, হিমালয়ের এই ভূমিকে প্রণাম করছি, জীবনে এর চেয়ে বড় অনুভূতি আর কী হতে পারে?”
দেশের করোনা যুদ্ধে অগ্রগতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “খুব অল্প সময়ের মধ্যেই দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় যে পরিষেবাগুলি আনা হয়েছে, তাতে ভারতের ক্ষমতাই বিশ্বের কাছে ফুটে উঠেছে। মাত্র একটা টেস্টিং ল্যাব থেকে বর্তমানে ৩ হাজার টেস্টিং ল্য়াবের এক বিশাল নেটওয়ার্ক তৈরি এবং বিদেশ থেকে মাস্ক ও কিট আমদানি থেকে নিজেদের দেশেই উৎপাদন, ভারত অতিদ্রুত এই ধাপগুলি পার করে বর্তমানে রফতানিকারক হয়ে উঠেছে।”
তিনি আরও যোগ করে বলেন, “আমাদের দেশে ইতিমধ্যে ৯৩ কোটি ভ্য়াকসিনের ডোজ় দেওয়া হয়েছে, যা প্রত্যেক দেশবাসীর কাছে গর্বের বিষয়। খুব শীঘ্রই আমরা ১০০ কোটির গণ্ডি অতিক্রম করব। কো-উইন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে এবং বিপুল সমারোহে গণটিকাকরণ কর্মসূচিকে সাফল্যের সঙ্গে পরিচালন করে আমাদের দেশ গোটা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে, কীভাবে টিকাকরণ কর্মসূচি পরিচালন করা সম্ভব। এছাড়াও পিএম কেয়ারস ফান্ডের অনুমোদিত অর্থে ১,১৫০ টিরও বেশি অক্সিজেন প্ল্যান্ট কাজ শুরু করেছে। এখন দেশের প্রতিটি জেলায় পিএম কেয়ারের অধীনে নির্মিত একটি অক্সিজেন প্ল্যান্ট রয়েছে।”
টোকিয়ো অলিম্পিকে উত্তরাখণ্ডের মেয়ের সাফল্যে অভিবাদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “এবার টোকিয়ো অলিম্পিকে দেবভূমিও তার পতাকা পুঁতে দিয়েছে। এর জন্য আপনারা সসকলেই অভিনন্দনের দাবিদার। উত্তরাখণ্ডের দিব্যা ধারা আমার মতো অনেক মানুষের জীবনধারা পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই দেশের সাথে আমার সম্পর্কও হৃদয়ের, কর্মের। ২০ বছর আগে আজকের দিনেই আমি জনগণের সেবা করার নতুন দায়িত্ব পেয়েছিলাম।”
আরও পড়ুন: Vaccine Certificate Row: কোয়ারেন্টাইন অস্ত্রেই ঘায়েল ব্রিটেন! কোভিশিল্ড নিলেই ছাড়পত্র ভারতীয়দের