নয়া দিল্লি: শেষ বার লকডাউন (Lockdown) এক সপ্তাহ বৃদ্ধি করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল জানিয়েছিলেন, সংক্রমণ কমেছে, কিন্তু পজিটিভিটি রেট ৫ শতাংশের নীচে নামিয়ে আনাই লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছেছে দিল্লি। তাহলে কি এ বার সব বিধি নিষেধ উঠে যাবে রাজধানী থেকে? এই প্রশ্নেরই উত্তর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল।
কেজরীবাল জানিয়েছেন, এ বিষয়ে লেফটেন্যান্স জেনারেলের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি। এপ্রিল মাসে সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ হয়েছিল দিল্লিতে পজিটিভিটি রেট। তারপর লকডাউনে দারুণ ফল পেয়েছে দিল্লি। এখন সেখানে পজিটিভিট রেট ৫ শতাংশের নীচে নেমে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার কেজরীবাল বলেন, “সপ্তাহান্তে আমি লেফটেন্যান্ট গভর্নর স্যারের সঙ্গে কথা বলব।”
মহারাষ্ট্রের পর করোনায় চূড়ান্ত বিধ্বস্ত হয়েছিল দিল্লি। লাগাতার বাড়ছিল সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় দ্রুত রাশ টানতে রাজধানীতে ১৯ এপ্রিল সম্পূর্ণ লকডাউন কায়েম করেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। ১ সপ্তাহের জন্য জারি হওয়া সেই লকডাউন এরপর লাগাতার বেড়েছে যা আপাতত ২৪ মে পর্যন্ত জারি থাকবে বলে জানিয়েছেন কেজরীবাল। লকডাউনের সুফল হাতেনাতে পেয়েছে রাজধানী। ১৯ এপ্রিল দিল্লিতে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৩ হাজার ৩৮৬। করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৪০ জন।
লাগাতার লকডাউনের জেরে একমাস ঘুরতে না ঘুরতেই রাজধানীতে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজারের নীচে নেমে গিয়েছে। তবে এখানেও কমেনি মৃত্যু। ১৯ মে দিল্লিতে ২৩৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের দাবি মৃত্যু গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার অন্যতম কারণ দিল্লির স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় গাফিলতি। কারণ একাধিকবার প্রকাশ্যে এসেছে দিল্লির অক্সিজেন সঙ্কট। যা নিয়ে বারবার দিল্লি হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে কেন্দ্র ও কেজরীবালের সরকার। বিশেষজ্ঞদের মতে সে কারণেই দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ গুণ কমলেও কমেনি মৃত্যু।
আরও পড়ুন: কোভিড পরিস্থিতিতেও শিক্ষার মান উন্নত রাখার বার্তা দিলেন শিক্ষামন্ত্রী