Asaduddin Awaisi : জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা ফেরালেন ওয়াইসি, চান UAPA ধারায় মামলা
Asaduddin Owaisi: মিম প্রধান বলেন, "আমি জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা চাই না। আমি এ ক্যাটাগরির নাগরিক হতে চাই, আপনাদের সবার মতো। যারা আমার ওপর গুলি চালিয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে কেন UAPA ধারায় মামলা করা হয়নি?"
নয়া দিল্লি : হায়দরাবাদের সাংসদ তথা মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসির (AIMIM Chief Asaduddin Owaisi) গাড়ি লক্ষ্য করে বৃহস্পতিবার গুলি চালানো হয়েছিল। সেই ঘটনার পর মিম প্রধানকে জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা (Z Category Security) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কিন্তু সেই জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রত্যাখ্যান করেছেন ওয়াইসি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বেষ্টনীর বদলে গুলি চালানোর ঘটনায় সন্ত্রাস দমন মামলার দাবি তুলেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার উত্তর প্রদেশের মিরাট থেকে প্রচার পর্ব শেষে দিল্লিতে ফেরার সময় তাঁর গাড়িতে গুলি চালানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই দাবি তোলেন তিনি। বলেন, “আমি জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা চাই না। আমি এ ক্যাটাগরির নাগরিক হতে চাই, আপনাদের সবার মতো। যারা আমার ওপর গুলি চালিয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে কেন UAPA ধারায় মামলা করা হয়নি?”
উল্লেখ্য শুক্রবার সংসদে তিনি বলেন, “আমি বাঁচতে চাই, কথা বলতে চাই। গরিবরা নিরাপদ থাকলেই আমার জীবন নিরাপদ হবে। যারা আমার গাড়িতে গুলি করেছে আমি তাদের ভয় পাই না।” উত্তর প্রদেশে নির্বাচনের ঠিক এক সপ্তাহ আগে গতরাতের হামলার ঘটনায় সাংসদের ঝুঁকির গুরুত্ব বিবেচনা করে সরকার তাঁকে সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (CRPF) দ্বারা জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। মিরাটের কিথৌধ এলাকায় তাঁর কনভয়ে গুলি চালানোর জন্য দুইজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ধৃতদের ১৪ দিনের হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, অভিযুক্তদের মধ্যে সচিন, নয়ডার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে এর আগে খুনের চেষ্টার মামলা রয়েছে। ঘটনার অন্য অভিযুক্ত শুভম, সাহারানপুরের একজন কৃষক। তার বিরুদ্ধে অতীতে কোনও অপরাধমূলক ঘটনায় জড়িত থাকার রেকর্ড নেই। পুলিশের মতে, দুজনেই জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাদের বলেছে, মিম প্রধান তথা সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এবং তাঁর ভাই বিধায়ক আকবরুদ্দিন ওয়াইসির করা মন্তব্যে তারা বিরক্ত। এদিকে ধৃতদের থেকে সম্প্রতি কেনা দেশি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারা যাদের কাছ থেকে ওই আগ্নেয়াস্ত্র কিনেছিল, পুলিশ ইতিমধ্যেই তাদের খোঁজ শুরু করেছে। টোল প্লাজার কাছেই ওয়াইসির সাদা গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করা হয়েছিল। তাঁর গাড়িতে দুটি বুলেটের ছিদ্র দেখা গিয়েছে। তৃতীয় বুলেটটি একটি টায়ারে আঘাত করে বলে অভিযোগ। ঘটনার পর প্রাণ হাতে নিয়ে অন্য একটি গাড়িতে করে এলাকা ত্যাগ করেন সাংসদ।