Assam Assembly Election 2021: আসনরফায় অসন্তুষ্ট সুস্মিতা দেব, রহস্য পদত্যাগ ঘিরে
এআইইউডিএফের সঙ্গে আসন রফা নিয়েই অসন্তোষ তৈরি হয়েছে কংগ্রেসের অন্দরে। গতকাল রাতেই শোনা যায়, পদত্যাগ করেছেন সর্বভারতীয় মহিলা কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট সুস্মিতা দেব(Sushmita Dev)। যদিও কংগ্রেস(Congress)-র দাবি, এই খবর ভুয়ো।
গুয়াহাটি: নির্বাচনের আগেই বড় ধাক্কা অসম কংগ্রেসে। শুক্রবার রাতেই গুঞ্জন শোনা যায়, দলের আসন বিভাজন নিয়ে অসন্তুষ্ট হওয়ায় পদত্যাগ করছেন সর্বভারতীয় মহিলা কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট সুস্মিতা দেব (Sushmita Dev)। তিনি যোগ দেবেন বিজেপি (BJP)তে। যদিও আজ সকালে অসম কংগ্রেসের সাংসদ প্রদ্যুৎ বরদলুই (Pradyut Bordoloi) স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, সুস্মিতা দেব পদত্যাগ করেননি। আসন নিয়ে তাঁর কিছু ক্ষোভ থাকতে পারে কিন্তু তা দ্রুত মিটিয়ে নেওয়া হবে।
গতকাল রাতেই শোনা যায়, গুয়াহাটির তাজ ভিভান্তা হোটেলে দলের শীর্ষনেতাদের সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন শিলচরের সাংসদ সুস্মিতা দেব। পদত্যাগ করার হুমকি দিয়েছেন সিদ্দিকি আহমেদও। সূত্র অনুযায়ী, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে অসমের কাচার অঞ্চলের সমস্ত আসনই জোটসঙ্গী এআইইউডিএফ (AIUDF)-র হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা কংগ্রেসের। আর এই সিদ্ধান্তেই অসন্তুষ্ট হয়েছেন সুস্মিতা দেব।
আরও পড়ুন:ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও কি করোনা হতে পারে? জেনে নিন বিশেষজ্ঞদের মত
সুস্মিতা দেবের পদত্যাগের খবর প্রচার হতেই এদিন সকালে নাগাঁও জেলার বিধায়ক প্রদ্যুৎ বরদলুই বলেন, “উনি (সুস্মিতা দেব) আমাদের দলের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। তিনি আমাদের দলের অত্যন্ত সম্মানীয় একজন নেত্রী। তিনি আমাদের সঙ্গেই রয়েছেন। তিনি দল থেকে পদত্যাগ করেননি।”
We want to make it clear that All India Mahila Congress president Sushmita Dev has not resigned from the party: Media Department, Assam Pradesh Congress Committee https://t.co/05ZDi4ZZGA
— ANI (@ANI) March 6, 2021
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে বোরোল্যান্ড পিপলস ফ্রন্ট (BPF), বাম (Left), এজিএম (AGM), আরজেডি (RJD) সহ ছয়টি আঞ্চলিক দলের সঙ্গে জোট বেঁধেছে কংগ্রেস (Congress)। এদের মধ্যে অন্যতম হল এআইইউডিএফ। দলের তরফে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীতালিকা প্রকাশ না করা হলেও জোটের অন্দরে আসনরফা প্রায় চূড়ান্ত।
সূত্র অনুযায়ী, অসমের কাচার অঞ্চল মুসলিম অধ্যুষিত হওয়ার কারণে এআইইউডিএফের ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সেই কারণেই এই অঞ্চলের কোনও আসনে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। তবে দলের এই সিদ্ধান্তেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে কর্মীদের মধ্যে। জল্পনা শুরু হয় দলের শীর্ষ নেতাদের কংগ্রেস ছাড়ারও।
আরও পড়ুন: টিকাকরণ শুরু হতেই ‘হাইব্রিড মোডে’ সুপ্রিম কোর্ট, ১৫ মার্চ থেকে শুনানি হবে অফলাইনেও