দিসপুর: অসমের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছে। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma) হোজাই জেলার বন্যা কবলিত এলাকা (Assam Flood) এবং ভাঙন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন। এছাড়াও পরিস্থিতি মোকাবিলা স্থানীয় প্রশাসনের নেওয়া ত্রাণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। হোজাইয়ের দক্ষিণ কেন্দুগুড়ির ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। এছাড়াও কপিলি নদীতে বন্যার জলের কারণে হওয়া ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী দক্ষিণ কেন্দুগুড়ি বোরনামঘরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের নদীর জল রোধ করার জন্য বাঁধ নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
হোজাই জেলার পাব নাভাঙ্গাতে বন্যা কবলিত এলাকার ত্রাণ শিবিরেও গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে আশ্রয় নেওয়া বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে সবরকমভাবে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। হোজাই জেলার স্থানীয় বাসিন্দারা বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে কেমন রয়েছে, তাও খতিয়ে দেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে তিনি হোজাইয়ের দক্ষিণ যুগীজানে জেলা প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিশ্ব শর্মা। বন্যা মোকাবিলায় প্রশাসন কী কী পদক্ষেপ করেছে, তাও জানতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বন্যার ফলে কোন কোন রাস্তা রাস্তা খারাপ হয়েছে, তা জানতে চেয়ে পূর্ত দফতরের আধিকারিকদের দ্রুত রিপোর্টে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বন্যার জলে ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়া রাস্তাঘাটের মেরামতির কাজ যাতে দ্রুত শুরু করা যায়, সেই কারণে তড়িঘড়ি রিপোর্ট চেয়েছেন হিমন্ত।
জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের ৬টি উচুঁ স্থান নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। কারণ পরবর্তীকালে বন্যা হলে যেন সেখানকার বাসিন্দারা সেই উচুঁ স্থানগুলিতে আশ্রয় নিতে পারেন। কৃষি বিভাগের আধিকারিকদের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের দ্রুত ধানের চারা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। স্থানীয় বিধায়ক রামকৃষ্ণ ঘোষ, জেশাশাসক অনুপম চৌধুরী এবং অন্যান্য সিনিয়র আধিকারিকও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।