Beaten to Death: মন্দিরে মদ-মাংস খাওয়ার অভিযোগ! পুরোহিতকে পিটিয়ে মারলেন তিন জন

TV9 Bangla Digital | Edited By: অংশুমান গোস্বামী

Jul 12, 2022 | 9:30 AM

Uttar Pradesh: পিলভিটের আমারিয়া থানার অন্তর্গত নভদিয়া জিতনিয়া গ্রাম। সেই গ্রামের শেষ সীমানতেই রয়েছে একটি মহাদেব স্থান মন্দির। সেই মন্দিরেই থাকতেন বাবা ঋষিগিরি।

Beaten to Death: মন্দিরে মদ-মাংস খাওয়ার অভিযোগ! পুরোহিতকে পিটিয়ে মারলেন তিন জন
প্রতীকী ছবি

Follow Us

পিলভিট: মন্দিরের পুরোহিত তিনি। থাকতেন মন্দিরেই। গ্রামের শেষ সীমানায় সেই শিব মন্দিরেই পুজো দিতে আসতেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু হঠাৎই পুরোহিতকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এ নিয়ে পুলিশের কাছে নিখোঁজ মামলা দায়ের হয়। তার পর পুলিশ তাঁর দেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদনতের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছিল, পিটিয়ে খুন করা হয়েছে ওই পুরোহিতকে। ঘটনার তদন্ত নেমে ওই গ্রামেরই তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশি জেরায় খুনের কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন তাঁরা। অভিযুক্তরা পুলিশকে জানিয়েছেন, মন্দিরের মধ্য়েই মদ, মাংস খেতেন ওই পুরোহিত। সেই নিয়ে ঝামেলা থেকেই তারা পিটিয়ে মেরেছেন ওই পুরোহিতকে। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের পিলভিটে।

পিলভিটের আমারিয়া থানার অন্তর্গত নভদিয়া জিতনিয়া গ্রাম। সেই গ্রামের শেষ সীমানতেই রয়েছে একটি মহাদেব স্থান মন্দির। সেই মন্দিরেই থাকতেন বাবা ঋষিগিরি। ৭ জুলাই সরজিৎ সিং নামে এক গ্রামবাসী ঋষিগিরি নিখোঁজ বলে আমারিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পুরোহিতের খোঁজ বেরিয়ে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। রসুলা গ্রামে থাকা খালের পাশের পড়েছিল ওই পুরোহিতের দেহ। দেহ ময়নাতদন্ত করতেই পিটিয়ে খুনের বিষয়টি জানা যায়। তখন খুনের অভিযোগ দায়ের করেন পুরোহিতের স্ত্রী কলাবতী।

এর পর এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তিন জনকে শনাক্ত করে পুলিশ। লালারাম, ধনরাজ এবং মুখিয়া নামের তিন জনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। পুলিশের জেরার মুখে পুরোহিতকে খুনের কথা স্বীকার করে নেন লালারাম। তিনি পুলিশকে বলেছেন, “বাবা ঋষিগিরি মন্দিরের মধ্যেই মদ, মাংস খেত। আমরা তাঁকে এই কাজ করতে বারণ করেছিলাম। কিন্তু তিনি শোনেননি। এক দিন আমরা পরিকল্পনা করে মাংস-মদ আনিয়েছিলাম। তখন মন্দিরের মধ্যেই তা খেতে শুরু করে ঋষিরাজ। তা নিয়েই আমাদের সঙ্গে ঝগড়া শুরু হতেই আমরা মারধর করেছি।” তিনি আরও বলেছেন, “আমাদের থেকে বাঁচতে বাবা ঋষিগিরি মাঠের মধ্যে দিয়ে দৌড়তে থাকেন। আমরা পিছু নিই। তার পর দেখি রাস্তার মধ্যে পড়ে রয়েছেন বাবা। তিনি মারা গিয়েছেন। আমরা তা দেখে ভয় পেয়ে যায়। কারণ আমরা তাঁকে মেরে ফেলতে চাইনি। ভয় আমরা খালের ধারে পুরোহিতের দেহ ফেলে রেখে চলে আসি।”

ঘটনা নিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হয়েছে। যে লাঠিতে করে পুরোহিতকে মারা হয়েছিল, সেই লাঠিও উদ্ধার করা হয়েছে।

Next Article