Zika Virus: করোনা থেকে শিক্ষা, জ়িকা মোকাবিলায় অগাম সতর্কতা অসমে
Assam: স্বাস্থ্য কর্তারা জানাচ্ছেন, এখনও অবধি অসমে জ়িকার কোনও উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। তবে করোনা যে ভাবে হঠাৎই গোটা পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল, তা থেকে শিক্ষা নিয়েই সব রকম সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।
গুয়াহাটি: এবার জ়িকা ভাইরাস (Zika Virus) নিয়ে আগাম সতর্ক অসম সরকার। উত্তর প্রদেশের কানপুরে জ়িকার ভয়াল মূর্তির পর এবার এই ভাইরাস নিয়ে বিশেষ সতর্ক হতে দেখা যাচ্ছে হিমন্ত বিশ্বশর্মার সরকারকে।
সূত্রের খবর, রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে সমস্ত জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সতর্ক করা হয়েছে। জ়িকার উপসর্গ নিয়ে রোগী এলে দ্রুততার সঙ্গে তাঁর নমুনা পরীক্ষা করাতে বলা হয়েছে।
এনভিবিডিসিপি (National Vector Borne Disease Control Programme)-এর স্টেট প্রোগ্রাম অফিসার (SPO) হরপাল সিং সুরি রবিবারই সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দু’ সপ্তাহের মধ্যে কেরল ও পুণে থেকে যাঁরা এসেছেন তাঁদের মধ্যে জ়িকার উপসর্গ থাকলে বিশেষ নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, জ়িকার হালহকিকত নখদর্পণে রাখতে অসম সরকার একটি কমিটিও গঠন করেছে। মেডিকেল কলেজ ও ল্যাবেরটরিগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সংক্রমণ চিনতে রক্তের নমুনা যেন সংগ্রহ করা হয়।
স্বাস্থ্য কর্তারা জানাচ্ছেন, এখনও অবধি অসমে জ়িকার কোনও উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। তবে করোনা যে ভাবে হঠাৎই গোটা পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল, তা থেকে শিক্ষা নিয়েই সব রকম সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। সবসময় নজরদারি চলবে বলেই জানান হরপাল সিং সুরি।
সুরি বলেন, জ্বর, ত্বকে র্যাশ, মাসল পেন, গাঁটের ব্যাথা, চোখে ইনফেকশন, মাথা ব্যাথা হল জ়িকার পরিচিত উপসর্গ। যদি কোনও শিশু মস্তিষ্কে কোনও সমস্যা নিয়ে জন্মায়, মা ও সন্তান দু’জনেরই নমুনা পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন তিনি।
গত কয়েক দিন ধরে কানপুরে ক্রমশ বাড়ছে জ়িকা আক্রান্তের সংখ্যা। তবে সোমবার কিছুটা আশার খবর শোনালেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। নতুন করে কেউ আক্রান্ত হননি এই ভাইরাসে। এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯। তবে উদ্বেগের বিষয় হল, আক্রান্তদের মধ্যে ১৭ জনই শিশু। গত মাসে কেন্দ্রের তরফে একটি বিশেষ টিম পাঠানো হয়েছিল পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। সেই দল দিল্লি ফিরে এসেছে বলে সূত্রের খবর। কানপুরের জেলাশাসক বিশাখ জি জানিয়েছেন, জ়িকা সংক্রমণ রুখতে বিশেষ প্রচার চালাচ্ছেন তাঁরা।
গত অক্টোবরের ২৩ তারিখ কানপুরে প্রথম জ়িকা ভাইরাসে আক্রান্তের খোঁজ মেলে। ভারতীয় বায়ুসেনার এক ওয়ারেন্ট অফিসার এই ভাইরাসে আক্রান্ত হন। এরপর থেকেই আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলে। নমুনা সংগ্রহ করে লখনউয়ের কিং জর্জস মেডিকেল ইউনিভার্সিটি ও পুণের ন্য়াশনাল ইন্সটিটিউট অব ভাইরোলজিতে পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য।
মশা দ্বারা এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে, সেই কারণে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন জেলাশাসক। তিনি জানান, সংক্রমণ যাচাই করতে জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের দলগুলি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। মশার লার্ভাদমন থেকে শুরু করে জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের চিহ্নিতকরণ, গুরুতর অসুস্থ রোগী ও গর্ভবতী মহিলাদের পরীক্ষা করা হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সতর্কতামূলক প্রচার অভিযানও শুরু করা হয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনার ঘাঁটিতেও বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Weather Update: আজও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস একাধিক জেলায়, বিপদের খাঁড়া দক্ষিণের এই জেলাগুলিতে