গুয়াহাটি: ভুয়ো রিফিউডি কার্ড দেখিয়ে রাজ্যে প্রবেশ করতে চাইছিল নয়জন রোহিঙ্গা। সঠিক সময়ে জিআরপির তৎপরতায় গ্রেফতার করা হল ওই নয়জনকে। এদের মধ্যে ছয়জন মহিলা ও একটি শিশুও রয়েছে।
অসম জিআরপি-র তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার সকালে গুয়াহাটি স্টেশন থেকে নয়জন রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করা হয়। আগরতলা-দেওঘর এক্সপ্রেস ট্রেনে তল্লাশি চালানোর সময়ই ওই নয়জন ধরা পড়ে। তাঁরা ইউএনএইচসিআর (United Nations High Commissioner for Refugees)-র পরিচয়পত্র দেখিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিল। তাঁদের সঙ্গে ছিল জম্মুর নরওয়ালের এক বাসিন্দাও। ওই ব্যক্তির নাম আমান উল্লাহ। মনে করা হচ্ছে, ওই ব্যক্তিই রোহিঙ্গাদের অসমে অনুপ্রবেশ করতে সাহায্য করছিল।
এর আগে শুক্রবারই জিআরপি আরও ১৫ জন রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে ছয়টি শিশু, ছয়জন পুরষ ও তিনজন মহিলা ছিল। তাঁরা শিলচর-আগরতলার ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করছিল। কিন্তু করিমগঞ্জ জেলার বদরপুর থেকেই জিআরপি তাদের আটক করে।
শুক্রবার যে ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাঁদের কাছেও কোনও বৈধ কাগজ ছিল না। অনুপ্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, এমনটাই জানায় পুলিশ। জেরায় জানা গিয়েছে, ধৃত ১৫ জন উত্তর প্রদেশের আলিগড় থেকে আসছে। এখানে তাঁরা কাজের খোঁজে এসেছিল, টাকা জমিয়ে বাংলাদেশে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
চলতি সপ্তাহেই সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, যারা দেশে অনুপ্রবেশ করছে, তাদের জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে হানিকারক বলেই গণ্য করা হবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাইও বলেন, “যারা বিনা বৈধ কাগজে ভারতে প্রবেশ করছে বা যারা ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরও দেশে থেকে গিয়েছে, তাদের অবৈধ প্রবেশকারী হিসাবেই গণ্য করা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ করা হবে।”
২০১৭ সালে মায়ানমারে অশান্তি শুরু হওয়ার পর থেকেই ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্ত টপকে রোহিঙ্গারা দেশে প্রবেশ করতে শুরু করে। সম্প্রতি এপ্রিলেই সুপ্রিম কোর্টের তরফে জম্মু-কাশ্মীরে বন্দি থাকা রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রসঙ্গে জানায়, সম্পূর্ণ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই মায়ানমারে ফেরত পাঠানোর কাজ শুরু করতে হবে।
বিগত কয়েক মাস ধরেই বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে একাধিক রোহিঙ্গাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ডিসেম্বর মাসেও ১৩ জন রোহিঙ্গাকে অসমের করিমগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। জানা গিয়েছিল, তারা বাংলাদেশের কক্স বাজার থেকে ভারতে পালিয়ে এসেছে এবং দিল্লি, জম্মু ও হায়দরাবাদে কাজের খোঁজে যাচ্ছিল। আরও পড়ুন: ‘জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে দেওয়া হবে না মন্ত্রীদের’, স্বাধীনতা দিবসেও ট্রাক্টর মিছিল চায় কৃষকরা