Assam: দাগী ডাকাত ভ্রমে হত্যা গরিব কৃষককে? সিআইডির তদন্ত রিপোর্টে অস্বস্তিতে পুলিশ

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Mar 12, 2023 | 6:05 PM

Assam Police: গত মাসেই অসম পুলিশ দাবি করেছিল যে, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে 'দাগী ডাকাত' কেনারাম বোরো ওরফে কেনারাম বসুমাতারীর। কিন্তু, সিআইডি তদন্তে বের হল অন্য কাহিনি।

Assam: দাগী ডাকাত ভ্রমে হত্যা গরিব কৃষককে? সিআইডির তদন্ত রিপোর্টে অস্বস্তিতে পুলিশ
প্রতীকী ছবি

Follow Us

গুয়াহাটি: গত মাসেই অসম পুলিশ দাবি করেছিল যে, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে ‘দাগী ডাকাত’ কেনারাম বোরো ওরফে কেনারাম বসুমাতারীর। কিন্তু, মৃত ব্যক্তির পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তাই, সিআইডি তদন্তের নিশ্চিত দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। সেই তদন্তে দেখা গেল, নিহত ব্যক্তি মোটেই কেনারাম বোরো নন। তাঁর আসল পরিচয় ডিম্বেশ্বর মুছাহারি। তাঁর পরিবারের দাবি, সে ছিল ছোট মাপের কৃষক। এই অবস্থায় পুলিশের দাবি, ডিম্বেশ্বর মুছাহারিও একজন “দাগী অপরাধী”। এই ঘটনা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে অসমের উদালগুড়ি জেলায়।

এই ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল ২৪ ফেব্রুয়ারি। রোতা এলাকার ধানসিরিখুটি গ্রামে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছিল এক ব্যক্তির। মৃত ব্যক্তি তাঁর ছেলে বলে শনাক্ত করেছিলেন কেনারাম বোরোর মা। এই কেনারাম বোরো হলেন, নিষিদ্ধ সংগঠন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট অব বোড়োল্যান্ডের প্রাক্তন সদস্য। সশস্ত্র ডাকাতির একাধিক মামলাও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। কেনারামের মায়ের দাবি মেনে তাঁকেই মৃতদেহ হস্তান্তর করেছিল পুলিশ। কিন্তু, কেনারাম বোরো হিসেবে শেষকৃত্য হয়ে যাওয়ার পর ভিন্ন দাবি নিয়ে পুলিশের সামনে উপস্থিত হয়েছিলেন ডিম্বেশ্বর মুছাহারির পরিবার। তাঁরা জানান, দেহটি ছিল ডিম্বেশ্বরের। এই বিষয়ে পুলিশে লিখিত অভিযোগও দায়ের করে মুছাহারি পরিবার।

এই নিয়ে হইচই শুরু হতেই ২ মার্চ, মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এই মামলার সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সিআইডির হস্তক্ষেপে কবর খুঁড়ে দেহটি তোলা হয়। দেহটির ডিএনএ বিশ্লেষণ করে সিআইডি নিশ্চিত হয়েছে যে, মৃতদেহটি ডিম্বেশ্বর মুছাহারির, কেনারাম বোরোর নয়। তদন্ত রিপোর্টটি প্রকাশের পর, স্বাভাবিকভাবেই চাপে পড়ে গিয়েছে অসম পুলিশ। একজন সাধারণ কৃষককে কেন গুলি করে হত্যা করা হল, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে, পুলিশের দাবি ডিম্বেশ্বর মুছাহারি ওরফে গোবলাকে শুধুমাত্র একজন সাধারণ কৃষক হিসেবে দেখলে চলবে না। তিনিও একজন “দাগী অপরাধী” বলেই দাবি করেছে পুলিশ। তাঁদের মতে, এর আগেও বেশ কয়েকবার আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে।

Next Article