বেঙ্গালুরু: নির্বাচনে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তার সপাটে জবাবও দিলেন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (Chief Election Commissioner) রাজীব কুমার (Rajiv Kumar)। তিনি জানান, দেশের নাগরিকরা প্রতিটি নির্বাচনের ফলাফলে আস্থা রাখেন। তা সত্ত্বেও দেশে অনুষ্ঠিত প্রতিটি নির্বাচনের পরই নির্বাচন কমিশনকে অগ্নিপরীক্ষা দিতে হয় বলে জানান তিনি।
এই বছর জুড়ে দেশের একাধিক রাজ্যে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। সদ্য ত্রিপুরা, মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডে মিটেছে ভোটপর্ব। তারপর ২৪-এ রয়েছে লোকসভা নির্বাচনও। তার আগে বিভিন্ন রাজ্য়ের নির্বাচন, বিজেপি ও বিরোধী দলগুলির কাছে সেমিফাইনালের মতো। সেখানেই বিজেপি নিজের প্রস্তুতি পরখ করে নেবে। ২৪-র আগে এই নির্বাচনগুলি একটা নির্ণায়ক ফ্য়াক্টর হতে পারে। তাই এইসব নির্বাচনে নিরপেক্ষতা বজায় রাখা উচিত। সামনে রয়েছে কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচন। যদিও কমিশনের তরফে দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়নি এখনও। তার আগে নির্বাচন পূর্ববর্তী কর্নাটকের ভোটের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে শনিবার রাজ্যে আসেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। এই সফরকালে তাঁর উদ্দেশে প্রশ্ন করা হয়, কর্নাটকের মানুষ এই কতটা নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করতে পারেন। এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “বছরের পর বছর ধরে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করে গিয়েছি। এবং ব্যালটের মাধ্যমেই ক্ষমতার হস্তান্তর করা হয় নির্ঝঞ্ঝাটভাবে।”
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন রাজ্যের নির্বাচনী ফলাফল প্রকাশের পর বিরোধীদের কটাক্ষের মুখে পড়েছিল নির্বাচন কমিশন। কংগ্রেস থেকে একাধিক বিরোধী দল নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেছে। রাজীব কুমার সেই সব কটাক্ষের আজ স্পষ্ট জবাব দিলেন বলে মনে করছেন অনেকে। তিনি এদিন আরও বলেন, “বিগত ৭০ বছর ধরে ভারত তার সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, ভৌগোলিক, অর্থনৈতিক ও ভাষাগত বিষয়গুলোকে শান্তিপূর্ণভাবে এবং সংলাপের মাধ্যমে স্থিতিশীল করে তুলেছে। এবং তা মূলত প্রতিষ্ঠিত গণতন্ত্রের মাধ্যমেই হয়েছে। তা নির্বাচনের ফলাফলের উপর জনগণের আস্থার কারণেই সম্ভব হয়েছে। তবুও নির্বাচন কমিশন প্রতিটি নির্বাচনের পরে প্রতিবার ‘অগ্নি পরীক্ষা’ দেয়।”