নয়া দিল্লি: সোমবার থেকে সংসদের শুরু হবে দ্বিতীয় পর্বের বাজেট অধিবেশন। তার আগে রবিবার বিকালে সর্বদলীয় বৈঠক করলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankar)। প্রায় সমস্ত বিরোধী দলের প্রতিনিধিরাই এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। কেবল গরহাজির ছিল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। ফলে এবারের অধিবেশনে তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থান কী হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে।
জানা গিয়েছে, বাজেট অধিবেশনের প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বেও আদানি ইস্যুতে উত্তাল হতে পারে সংসদ। এই বিষয়ে সংসদে আলোচনা চাইছেন বিরোধীরা। মূলত এই বিষয়টি স্পষ্ট করে দিতেই এদিন, অধিবেশন শুরুর আগে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন বিরোধীরা। এই বৈঠকে ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ থেকে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে ছাড়াও জয়রাম নরেশ, জেডিইউ নেতা রামনাথ ঠাকুর, সিপিএমের তরফে ছিলেন ই করিম ও সিপিআইয়ের তরফে বিনয় বিশ্বম, কেসিএম পার্টি থেকে ছিলেন জোশ কে মানি, সমাজবাদী পার্টর তরফে ছিলেন রাম গোপাল যাদব, এজিডি থেকে ছিলেন বিনয় প্রসাদ, শিবসেনার উদ্ধব গোষ্ঠীর সঞ্জয় রাউত এবং আপ নেতা সঞ্জয় সিং উপস্থিত ছিলেন। কেবল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে কোনও প্রতিনিধি এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না।
সূত্রের খবর, আদানি ইস্যু নিয়ে সংসদে আলোচনা চাইছেন বলে উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের কাছে আবেদন জনিয়েছেন বিরোধী নেতারা। পাল্টা তাঁদের সুষ্ঠুভাবে সংসদ চালানোর আবেদন জানিয়েছেন জগদীপ ধনখড়।
তবে বিরোধীরা যে আদানি ইস্যু এত সহজে ছাড়ছেন না, তা এদিন একপ্রকার স্পষ্ট করে দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে। অধিবেশন শুরুর প্রাক্কালে সকাল ১০টা নাগাদ নিজের বাড়িতে সম-মনোভাবাপন্ন দলগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি। আদানি ইস্যু থেকে, কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার, মূল্যবৃদ্ধি সহ বিভিন্ন ইস্যুকে যে বিরোধীরা হাতিয়ার করতে চাইছেন, সেগুলি কী ভাবে সংসদে উত্থাপন করা হবে, সে বিষয়েই অধিবেশন শুরুর আগে আলোচনা করে নিতে চান খাড়্গে। ফলে খাড়্গের নেতৃত্বে আগামী কালের বৈঠকেও বিরোধী দলগুলির প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন বলে সূত্রের খবর। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে কেউ ওই বৈঠকে থাকবেন নাকি এদিনের উপ-রাষ্ট্রপতির বৈঠকের মতো কংগ্রেস নেতার ডাকা বৈঠকেও গরহাজির থাকবেন তা এখনই স্পষ্ট নয়। আগামী কাল সকালেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। ফলে তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধী দলের সঙ্গে থাকবে নাকি একলা চলো নীতি নেবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, আদানি ইস্যুতে উত্তাল হয়েছিল সংসদের বাজেট অধিবেশনের প্রথম পর্ব। প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এই বিষয়ে আলোচনা চেয়েছিলেন বিরোধীরা। কিন্তু, সেটা আদতে হয়নি। যা নিয়ে তীব্র বিরোধিতা করেন বিরোধীরা। এই ঘটনায় এক কংগ্রেস সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়। রাহুল গান্ধীকেও স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ দেওয়া হয়। এবার কী হয়, সেটাই দেখার!