চেন্নাই: এবার এনসিসি ক্যাম্পে ছাত্রীদের যৌন হেনস্থা। এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি এবং কমপক্ষে ১২ জন ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। তদন্তে নেমে মাথায় হাত পুলিশের। জানা গেল, যে এনসিসি ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছি ছাত্র-ছাত্রীদের, তার আসলে কোনও অস্তিত্বই নেই। পুরোটাই ভাঁওতা।
ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর কৃষ্ণগিরিতে। পুলিশের কাছে এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ আসে। এরপর তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, যে ন্যাশনাল ক্যাডেট কর্পস ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছিল পড়ুয়াদের, তা নকল। পুলিশ এই ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে ওই ভুয়ো ক্যাম্পের আয়োজক, স্কুলের প্রিন্সিপাল, দুই শিক্ষক ও এক প্রতিনিধিও রয়েছে।
জানা গিয়েছে, ওই বেসরকারি স্কুলে কোনও এনসিসি ইউনিট ছিল না। একটি গ্রুপ এসে স্কুল কর্তৃপক্ষকে এসে জানায় যে তারা এনসিসি ক্যাম্পের আয়োজন করায়। এই ক্য়াম্প করলে, স্কুলকে এনসিসি-র শংসা পাবে। স্কুল কর্তৃপক্ষও কিছু যাচাই না করেই, ৪১ জন পড়ুয়াকে তিনদিনের ক্যাম্পে পাঠায়।
একটি স্কুলে ওই পড়ুয়াদের রাখা হয়। ১৭ জন ছাত্রীদের স্কুলের দ্বিতীয় তলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। গ্রাউন্ড ফ্লোরে থাকছিল ছাত্ররা। তাদের উপরে নজরদারি করার জন্য কোনও সুপারভাইজর ছিল না।
ছাত্রীদের অভিযোগ, প্রশিক্ষণের নামে তাদের আলাদাভাবে অডিটোরিয়ামে ডাকা হত এবং যৌন হেনস্থা করা হত। এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানিও করা হয়। স্কুলে ফিরে কর্তৃপক্ষকে জানালে, তারা এই বিষয়ে পুলিশকে খবর তো দেননি, বরং পড়ুয়াদের এই বিষয়টি গুরুত্ব না দিতেই বলেন।
এক পড়ুয়া তাঁর মা-বাবাকে জানালে, তারাই পুলিশে অভিযোগ জানান। এরপরই তদন্তে নেমে ভুয়ো এনসিসি ক্যাম্পের হদিস পায়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ছাত্রীদের মেডিক্যাল টেস্টও করানো হয়েছে।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)