আগরতলা : যতই আগরতলার পুরভোট এগিয়ে আসছে, ততই উত্তপ্ত হচ্ছে ত্রিপুরার (Tripura) রাজনীতি। গত কয়েক দিন ধরে আগরতলার (Agartala) বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে প্রচার সভা করছেন তৃণমূলের (TMC) বিধায়ক সহ একাধিক নেতা। আক্রমণের অভিযোগও সামনে আসছে প্রতিনিয়ত। আর এবার হামলার অভিযোগ উঠল ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) সভায়। বাবুল সুপ্রিয়ও উপস্থিত ছিলেন সেই সভায়। সভা মঞ্চ ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সভা ভন্ডুল করতে বিজেপি উচ্চৈঃস্বরে মাইক চালিয়ে দেয় বলেও দাবি বিজেপির।
আজ শনিবার ত্রিপুরার ইন্দ্রনগরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী পান্না দেবের হয়ে প্রচারে যান ফিরহাদ হাকিম ও বাবুল সুপ্রিয়। তৃণমূলের সভা চলাকালীন তাদের মঞ্চের মাইক ও আলো বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অথচ কিছু দূরেই বিজেপির সভায় আলো, মাইক সবই ছিল। এমনকি বিজেপির সভা এত জোরে মাইক চলছিল যে তৃণমূলের সভার কোনও কথাই শোনা যাচ্ছিল না।
তৃণমূলের দাবি, তাদের সভা চলাকালীনই বিজেপি কর্মীরা মিছিল বের করে। সভা শেষ হয়ে যাওয়ার পর বিজেপি কর্মীরা বাবুল সুপ্রিয় এবং ফিরহাদ হাকিমর উপর হামলা করে। তাঁরা সভা থেকে বেরোতে চাইলে তাঁদের ঘিরে ধরা হয়। তারপর বিজেপি কর্মীরা আগরতলা পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী পান্না দেবকে আক্রমণ করে বলেও অভিযোগ। বর্তমানে পান্না দেব জি. বি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি জানান, তাঁর নাকে ইঁট ঢুঁড়ে মারা হয়। তাতেই অজ্ঞান হয়ে যান তিনি।
তৃণমূল নেতা বাবুল সুপ্রিয় বলেন, ‘আমাদের দলের মহিলাদের গায়ে হাত তুলেছে। পুলিশ এসে একটা মাইক পর্যন্ত বন্ধ করতে পারেনি।’
গতকালও বাবুলের সভা ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয়। বিজেপিতে থাকাকালীন তিনি তৃণমূলকে কটাক্ষ করে যে গান লিখেছিলেন, সেই গান বাজানো হয় বাবুলের সভার পাশেই। শুক্রবার আগরতলায় তৃণমূলের প্রচার সভায় উপস্থিত বাবুল সুপ্রিয় ও তৃণমূলের যুব নেত্রী সায়নী ঘোষ, তখন সভার পাশ দিয়ে ছুটে যায় একটি গাড়ি, তাতে বাজছিল বাবুলের সেই গান, এই তৃণমূল আর না।
কিছুদিন আগে ত্রিপুরায় হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন এই তৃণমূল প্রার্থী পান্না দেব। প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে আগেই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পুর নির্বাচনের এই প্রার্থী। তাঁর দাবি, পরে হামলার শিকার হয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে তাঁকে হেনস্থা করে পুলিশ। প্রথমে পান্না দেবকে আটক ও পরে গ্রেফতার করা হয়। অভব্য আচরণ ও আইনভঙ্গের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। প্রতিদিন ভোটের প্রচারে বেরিয়ে তাঁকে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন পান্না দেব। আগরতলা পশ্চিম থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। পরে প্রচারে বেরলে ১০-১২ টি বাড়িতে প্রচারে যাওয়ার পরই তাঁকে বাধা দেওয়া হয় বলে দাবি করেন তৃণমূলের ওই মহিলা প্রার্থী। তাঁর দাবি, রীতিমতো হামলার শিকার হতে হয় তাঁকে। এবার ফের একবার আক্রান্ত হলেন তিনি।
আরও পড়ুন : Students Credit Card: ‘ছাত্র দিবসে’ ২০ হাজার স্টুডেন্স ক্রেডিট কার্ড দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করল সরকার