Omicron in India: অপ্রয়োজনে বাইরে নয়, যত সম্ভব ভিড় এড়ান, মাস্ক পরুন; ওমিক্রনের সতর্কতা জারি কেন্দ্রের
Union Health Ministry: সাধারণ নাগরিকদের বিনা প্রয়োজনে বাইরে বেরানো যতটা সম্ভব এড়ানো যায়, সেই পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। ভিড় এবং জমায়েত থেকে দূরে থাকার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
নয়া দিল্লি: দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। বাড়তে বাড়তে দেশে এখন ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ পার করে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ সহ মোট ১১ টি রাজ্য় থেকে ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার দেশবাসীকে সতর্ক করে দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। দেশের ১৯ টি জেলায় করোনার সংক্রমণ লাগামছাড়া হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
ভিড় ও জমায়েত এড়ানোর পরামর্শ
দেশে এখন করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ ঢুকে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রক মাস্কের ব্যবহার এবং শারীরিক দূরত্ববিধি বজায় রাখা সহ অন্যান্য কোভিড আচরণবিধি মেনে চলার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছে। সাধারণ নাগরিকদের বিনা প্রয়োজনে বাইরে বেরানো যতটা সম্ভব এড়ানো যায়, সেই পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। ভিড় এবং জমায়েত থেকে দূরে থাকার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এখনও অবধি মোট ৯১ টি দেশে ওমিক্রনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
সতর্ক স্বাস্থ্য মন্ত্রক
এর আগে কেন্দ্র তিনটি রাজ্যের আটটি জেলাকে চিহ্নিত করেছিল। এর মধ্যে রয়েছে কেরল, মিজোরাম এবং সিকিম। বিগত কিছু দিনে দেশের মোট আক্রান্তের ১০ শতাংশেরও বেশি করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে এই তিন রাজ্যের আট জেলা থেকে। এর পাশাপাশি অন্য সাতটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ১৯ টি জেলা থেকে গত দুই সপ্তাহে দেশের মোট আক্রান্তের ৫-১০ শতাংশের খোঁজ মিলেছে।
জোর দেওয়া হচ্ছে স্থানীয় স্তরে কনটেইনমেন্ট জ়োনে
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব আরও জানিয়েছিলেন, “কোনও জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বা পজিটিভিটি রেট বাড়তে শুরু করে, তাহলে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্থানীয় স্তরে ছোট ছোট এলাকাকে চিহ্নিত করে কনটেইনমেন্ট জ়োন হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।”
যদিও গোটা দেশের সার্বিক করোনাগ্রাফে সামান্য পরির্বতন লক্ষ্য করা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৪৪৭ জন। গতকাল সেই সংখ্যাটা ছিল ৭ হাজার ৯৭৪ জন। যা গতকালের তুলনায় সামান্য কম হয়েছে। একদিনে করোনার বলি হয়েছেন ৩৯১ জন।
সবথেকে খারাপ পরিস্থিতি মহারাষ্ট্রে
মহারাষ্ট্রে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছিলেন। এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ওমিক্রনের সংক্রমণেরও খোঁজ পাওয়া গিয়েছে মহারাষ্ট্র থেকেই। মোট ৪০ জনের আক্রান্ত হওয়ার খোঁজ মিলেছে। এর পরেই রয়েছে রাজস্থান। সেখানে ১৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া কর্ণাটক এবং তেলাঙ্গানায় আট জন করে আক্রান্তের হদিস মিলেছে। গুজরাট, কেরল, তামিলনাড়ু, বাংলা এবং অন্ধ্র প্রদেশেও সংক্রমণের খোঁজ মিলেছে।