এখনকার নতুন প্রজন্মের মধ্যে অনেকেই কম-বেশি স্বাস্থ্য সচেতন। নিয়মিত শরীরচর্চা, ডায়েট নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যস্ত সকলেই। মেদহীন টানটান শরীর কে না ভালবাসে বলুন। তবে স্বাস্থ্য বিষয়ে নানা ধরনের ভুল ধারণাও থাকে। ফলে হিতে বিপরীত হয়ে যায় অনেক সময়। ফলে নিজেদের শরীর খারাপ হয়ে যায়। তাই ডায়েট করার আগে অবশ্যই জেনে নেওয়া প্রয়োজন সেই সব ভুল ধারণাগুলি।
অনেকেই ভাবেন কার্বোহাইড্রেট খেলে মোটা হয়ে যাবেন। তাই ভাত-রুটি খাওয়া বন্ধ করে দেন। তবে এই ধারণা ঠিক নয়। কার্বোহাইড্রেট ব্রেনকে কাজ করতে এবং শরীরের এনার্জি লেবেল বজায় রাখতে কার্যকরী। তাই কার্বোহাইড্রেটের জোগান সব সময় বজার রাখুন। তবে ব্যালেন্স ডায়েট থাকাটাও গুরুত্বপূর্ণ।
শরীরকে সুস্থ রাখতে হাইড্রেট রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। তবে অনেকেই দাবি করেন, শরীরকে হাইড্রেট রাখতে হলে প্রতিদিন ৮ গ্লাস জল খাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। আদপেও নয়, শরীর হাইড্রেটেড থাকছে কি না তা নির্ভর করে সেই ব্যাক্তির শরীরের উপর, কোন পরিবেশে সারাদিন আছে তার উপরে। সেই হিসাবে এক একজনের শরীরকে হাইড্রেট রাখতে নানা পরিমাপের জল খাওয়া প্রয়োজন।
অনেকেই মনে করেন দামী জিনিস সেটি ভাল। এটাকে অর্থনীতির ভাষায় বলে 'ভেবলেন এফেক্ট'। তবে আপনার ত্বকের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে কিন্তু বিষয়টি একদমই জিনিসপত্রের দামের উপর নির্ভর করে না। সেটা নির্ভর করে আপনার ত্বকের টেক্সচার, টোন ও ধর্মের উপর। সঠিক প্রসাধন সামগ্রী বাছতে পারলে তবেই ত্বকের উন্নতি সম্ভব।
অনেকেই মনে করেন ধূমপান করলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। এটা সত্যি, তবে ভাবেন ভেপার নিলে তার কোনও ক্ষতি হয় না। এটা কিন্তু সত্যি নয়। চিকিৎসকদের দাবি ধূমপান এবং ভেপার নেওয়া, দুইই সমান ভাবে আপনার ফুসফুসের ক্ষতি করে।
দ্রুত শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে হবে। তাই দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে কাটান অনেকে। আবার আজকাল ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং-এর চল শুরু হয়েছে। তবে এই ধারণা কিন্তু ভিত্তিহীন, বরং এতে ক্ষতির সম্ভাবনার বেশি। বরং মেটাবলিজমের হার কমিয়ে দিয়ে ওজন কমানোর হার কমিয়ে দিতে পারে এই অভ্যাস।
লাউয়ের মতো কাঁচা সব্জির রস খেলে শরীরে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এটা সত্যি যে সবুজ শাক সব্জিতে পরিপূর্ণ থাকে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, উপকারী নানা খনিজ সহ অনান্য অনেক উপকারী উপাদান। তবে যে কোনও কাঁচা সব্জিতে থাকে উচ্চ মাত্রায় অক্সালেট। যা কিডনি স্টোনের কারণ হরে পারে। তাই সাবধান। কাঁচা সব্জি খাওয়ার থেকে সিদ্ধ করা খাবার খাওয়া ভাল।
ঘি খেলেও কমে মেদ, অনেক উপকার হয়, এমন ধারণা আছে অনেকেরই। তবে মনে রাখবেন ঘিতে কোনও প্রোটিন নেই। এতে ভর্তি থাকে ফ্যাট। যদিও ঘি তে উপকারী ফ্যাটের পরিমাণ অনেকটা বেশি, তবে বেশি ঘি খেলে ওজন বৃদ্ধি বা কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা হতে পারে।