ক্ষমতায় বসেই ট্রাম্পের বিরাট পদক্ষেপ, WHO থেকে বেরিয়ে গেল আমেরিকা, কারণ টাকা লুঠ…
Donald Trump: ডোনাল্ড ট্রাম্প এর আগেই দাবি করেছিলেন যে আমেরিকা চিনের থেকে বেশি ফান্ডিং বা আর্থিক সাহায্য করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে। কিন্তু করোনা মহামারি বা অন্যান্য আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সঙ্কট মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েছে।
ওয়াশিংটন: সবে প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়েছেন। একদিনের মধ্যেই মারাত্মক সব সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলছেন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শপথ গ্রহণের পরই তাঁর প্রথম বোমা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু থেকে বেরিয়ে যাওয়া।
২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ গ্রহণের পরই ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্যপদ ছাড়ছে আমেরিকা। সংবাদমাধ্যমের সামনেই ট্রাম্প বলেন, “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আমাদের লুটে নিয়েছে”। তিনি জানান, সরকার ২০২৪ সালের গ্লোবাল হেলথ সিকিউরিটি স্ট্র্যাটেজি দ্রুত পর্যালোচনা করে, তা পরিবর্তন করবে।
প্রসঙ্গত, ডোনাল্ড ট্রাম্প এর আগেই দাবি করেছিলেন যে আমেরিকা চিনের থেকে বেশি ফান্ডিং বা আর্থিক সাহায্য করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে। কিন্তু করোনা মহামারি বা অন্যান্য আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সঙ্কট মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েছে। ২০২০ সাল থেকেই হু-র কাজকর্ম নিয়ে সমালোচনায় সুর চড়িয়েছিলেন ট্রাম্প। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চিনের হাতে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন। তাই দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্টের গদিতে বসতেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে আমেরিকার বেরিয়ে যাওয়াকে অপ্রত্যাশিত বলা চলে না।
কী প্রভাব পড়বে?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে আমেরিকার বেরিয়ে যাওয়ায় বড় প্রভাব পড়তে চলেছে, কারণ ১৯৪৮ সাল থেকে হু-এর অন্যতম আর্থিক অনুদানকারী ছিল আমেরিকা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মোট তহবিলের প্রায় ১৮ শতাংশ অর্থই জোগাত আমেরিকা। ২০২৪-২৫ সালেই আমেরিকা ৬.৮ বিলিয়ন ডলার অর্থ পাঠিয়েছিল আমেরিকা। হঠাৎ ট্রাম্প এসে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বেশ চাপে পড়বে।
তবে একা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে চাপে পড়বে, তা নয়। হু থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ায় বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য হাতছাড়া হবে আমেরিকার। ট্রাম্পের দেশে এখনও বহু মানুষ টিউবারকুলোসিস বা টিবির সঙ্গে লড়ছে। এইচআইভি-র মতো মারণ সংক্রামক রোগও রয়েছে। এই সংক্রান্ত তথ্য ও চিকিৎসা না পেলে আমেরিকা বড় ঝুঁকির মুখে পড়বে। বিভিন্ন ক্লিনিকাল ডেটাও আর হাতে পাবে না আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন।