অযোধ্যা: অযোধ্যার রাম মন্দির নির্মাণে জগদগুরু রামভদ্রাচার্যর বিশেষ অবদান রয়েছে। শুক্রবার মধ্যপ্রদেশে এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গিয়ে জগদগুরু রামভদ্রাচার্যর ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। একইসঙ্গে তিনি বলেন, “অযোধ্যার রাম মন্দির শীঘ্রই প্রস্তুত হয়ে যাবে।”
আগামী ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরে বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা ও দ্বারোদ্ঘাটনের অনুষ্ঠান রয়েছে। ইতিমধ্যে রাম মন্দির ট্রাস্টের তরফে ওই অনুষ্ঠানের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণও জানানো হয়েছে। এদিন সেকথারও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। অন্যদিকে, টিভি৯ বাংলার প্রতিনিধির ক্যামেরাতেও ধরা পড়েছে রাম মন্দিরকে কেন্দ্র করে সমগ্র অযোধ্যা-নগরীর তৎপরতা।
রাম মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটনের এখনও মাস তিনেক বাকি রয়েছে। কিন্তু, এখন থেকেই তৎপরতা তুঙ্গে। কেবল মন্দির প্রাঙ্গণ নয়, মন্দির-সংলগ্ন অযোধ্যা নগরীতেও একাধিক নির্মাণকাজ চলছে। সেই ছবি তুলে ধরেছেন টিভি৯ বাংলার প্রতিনিধি সুমনকল্যাণ ভদ্র। বলা যায়, রাম মন্দিরকে কেন্দ্র করে দর্শকদের জন্য সাজিয়ে তোলা হচ্ছে অযোধ্যা-নগরী। এছাড়া নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে। রাম মন্দির চত্বর ও সংলগ্ন এলাকায় যাতে কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে তৎপর যোগী সরকার। তাই এখন থেকেই রাম মন্দির-সংলগ্ন অযোধ্যা নগরীতে বিশেষ নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বুধবারই রাম মন্দির ট্রাস্টের তরফে বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার দিন ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। নয়া দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়ে তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়ে আসেন রাম মন্দির ট্রাস্টের জেনারেল সেক্রেটারি চম্পত রাই। এই আমন্ত্রণ পেয়ে আপ্লুত প্রধানমন্ত্রী। সেই মুহূর্তের সাক্ষ্য থাকা সারাজীবনের পুণ্যের ফল বলে টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর বৃহস্পতিবার ট্রাস্টের তরফে রাম মন্দিরের গর্ভগৃহের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আনা হয়। যেখানে দেখা যায়, গর্ভগৃহের দরজা একেবারে সোনাখচিত। দেওয়াল ও স্তম্ভে নানান মূর্তি খোদাই করা। সবমিলিয়ে, রাম মন্দিরকে কেন্দ্র করে এখন থেকেই সেজে উঠতে শুরু করেছে সমগ্র অযোধ্যা।