লখনউ: বিদ্বেষমূলক মন্তব্য (Hate Speech) করায় দোষী সাব্যস্ত সমাজবাদী পার্টি (Samajwadi Party) নেতা আজ়ম খান (Azam Khan)। বৃহস্পতিবার রামপুর আদালত ২০১৯ সালের একটি বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের কারণে আজ়ম খানকে তিন বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। এর পাশাপাশি তাঁকে ২ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। এই সাজা ঘোষণার পরই উত্তর প্রদেশ বিধানসভায় বিধায়ক হিসেবে অযোগ্য ঘোষণা করা হল।
২০১৯ সালে একটি ঘৃণাসূচক বক্তৃতায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন সমাজবাদী পার্টি নেতা আজ়ম খান। এই মামলায় বৃহস্পতিবারই তাঁকে সাজা শোনানো হয়েছে। এরপরই শুক্রবার উত্তর প্রদেশের বিধানসভার স্পিকার ঘোষণা করেন যে, সমাজবাদী পার্টির নেতা তথা রামপুরের বিধায়ক আজ়ম খানকে বিধায়ক হিসেবে অযোগ্য ঘোষণা করা হচ্ছে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে প্ররোচনামূলক মন্তব্য করেছিলেন আজ়ম খান। সেই মামলাতেই রামপুর আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩ এ (দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা প্রচার করা), ৫০৫ ও জনপ্রতিনিধিত্ব আইন ১৯৫১-র ১২৫ নম্বর ধারার অধীনে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হল আজ়ম খানকে?
জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর যদি তাঁর সাজা ২ বছর বা তার বেশি কারাদণ্ড হয় তাহলে সেই সাজা শুরুর দিন থেকে তাঁকে বিধায়ক হিসেবে অযোগ্য ঘোষণা করা উচিত। তাঁর সাজা শেষ হওয়ার পর আরও ৬ বছরের জন্য সেই অযোগ্যতা বহাল থাকা উচিত। বিধানসভার স্পিকার স্বতঃপ্রণোদিতভাবেই এই প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেন বা এই মর্মে কোনও আবেদনের ভিত্তিতে এই অযোগ্যতা ঘোষণা করার প্রক্রিয়াটি শুরু করতে পারেন। এই নিয়ম অনুযায়ী, আজ়ম খানের সাজা ২ বছরের বেশি। তাই তাঁর বিধায়ক পদ বাতিল করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার ২০১৯ সালের মামলায় আজ়ম খানকে দোষী সাব্যস্ত করেছে রামপুর আদালত। আর সেদিনই এই মামলায় জামিন পেয়ে গিয়েছেন তিনি। তাঁকে এই সাজার বিরুদ্ধে আবেদনের জন্য সময় দেওয়া হয়েছে রামপুর আদালতের তরফে।