পটনা: এক-একটা অক্ষরের গুরুত্ব অনেক। একটা শব্দ এদিক থেকে ওদিক হয়ে গেলে গোটা বাক্যেরই বদলে যেতে পারে অর্থ। আর সেটারই প্রমাণ মিলল হাতেনাতে। এই ভুল আবার সামান্য পোস্টার বা বিজ্ঞাপনে নয়, বরং শিক্ষা বিভাগেরই চিঠিতে মারাত্মক ভুল। শিক্ষকরা হাতে পেলেন চিঠি। তাতে লেখা, ‘বিছানায়’ পারফরম্যান্সের জন্য তাদের শাস্তি হিসাবে বেতন কেটে নেওয়া হচ্ছে।
জামুইয়ের একাধিক স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা, যারা এই নোটিস পেয়েছেন, তাদের মাথায় হাত। ভাবছেন, বিছানায় খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য নাকি তাদের বেতন কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষা বিভাগের পাঠানো চিঠির চুলচেরা বিশ্লেষণের পর বোঝা গেল, টাইপোর দৌলতেই এত কিছু!
আসলে ‘বিছানা’ নয়, ওই শব্দটি হত ‘খারাপ’। ব্যাড লিখতে গিয়েই ‘A’-র বদলে ‘E’ লিখে ফেলাতেই খারাপ পারফরম্যান্স হয়ে গেল বিছানায় পারফরম্যান্স। বিহারের শিক্ষা বিভাগের নির্দেশিকায় এমন ভুলে হাসির রোল উঠেছে নেট পাড়ায়।
জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহেই বিহারের শিক্ষা বিভাগের তরফে জামুই জেলার একাধিক স্কুলে সারপ্রাইজ ইন্সপেকশন করা হয়। একাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকাই অনুপস্থিত ছিলেন। তাদের পারফরম্যান্সেও সন্তুষ্ট হননি আধিকারিকরা।
এরপরই জেলা শিক্ষা আধিকারিকের তরফে ১৬ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে চিঠি পাঠানো হয়। ৩ জনকে অনুপস্থিত থাকার জন্য এবং ১৩ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য একদিনের বেতন কেটে নেওয়া হয়।
তবে সমস্যা হয় এই বেতন কেটে নেওয়ার চিঠিতেই। ব্যাডের জায়গায় ভুল করে লেখা হয় বেড। ফলে চিঠির অর্থ দাঁড়ায় যে বিছানায় পারফরম্যান্সের জন্য তাদের বেতন কেটে নেওয়া হচ্ছে। ১৪ বার একই ভুল হওয়াতে অনেকে শিক্ষা বিভাগের কাজ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।