Dhaka Fire: বের হচ্ছে একের পর এক পোড়া লাশ, বিরিয়ানি খেতে এসে আগুনের গ্রাসে ৪৬!

Mar 01, 2024 | 12:35 PM

Dhaka Fire: বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন জানিয়েছেন, আহতদের অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। দমকল কর্তারা জানিয়েছেন, ভবনটির প্রথম তলায় অবস্থিত এক রেস্তোরাঁয় প্রথমে আগুন লেগেছিল। সেখান থেকে আগুন দ্রুত উপরের তলগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে।

Dhaka Fire: বের হচ্ছে একের পর এক পোড়া লাশ, বিরিয়ানি খেতে এসে আগুনের গ্রাসে ৪৬!
রাতভর প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন দমকল কর্মীরা
Image Credit source: ANI

Follow Us

ঢাকা: ফের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি), রাত পৌনে ১০টা নাগাদ, ঢাকার একেবারে কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত বেইলি রোডের এক সাত তলা ভবনে আগুন লেগেছিল। রাতভর প্রচেষ্টায় সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও, এই ঘটনায় কমপক্ষে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও ২২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার ভোরে, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন জানিয়েছেন, আহতদের অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। দমকল কর্তারা জানিয়েছেন, ভবনটির প্রথম তলায় অবস্থিত এক রেস্তোরাঁয় প্রথমে আগুন লেগেছিল। সেখান থেকে আগুন দ্রুত উপরের তলগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে। উপরে আরও কয়েকটি রেস্তোরাঁ এবং একটি পোশাকের দোকান ছিল।


জানা গিয়েছে, দমকলের মোট ১৩টি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তারপর, ওই সাততলা ভবনটি থেকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ৪২ জন-সহ মোট ৭৫ জনকে বের করে আনা হয়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারিতে আহতদের চিকিৎসা চলছে। আহতদের অনেকেরই আগুনে পুড়ে এবং ধোঁয়ার জেরে শ্বাসযন্ত্রের গুরুতর ক্ষতি হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আগুন লাগার পর, আগুবনের হাত থেকে বাঁচতে অনেকেই উপরের তলগুলিতে উঠে গিয়েছিলেন। তাঁরা সেখানেই আটকে পড়েছিলেন। পরে, মই ব্যবহার করে দমকল কর্মীরা তাদের অনেককে উদ্ধার করে।


কী কারণে আগুন লেগেছে তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। সন্দেহ করা হচ্ছে, শর্টসার্কিট বা গ্যাস লিক করে আগুন লেগে থাকতে পারে। ঘটনাস্থল থেকে সূত্র সংগ্রহ করে গবেষণাগারে কেমিকেল টেস্ট করলে, তবেই, আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন জানিয়েছেন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন মহিলা ও শিশু রয়েছে। রাতেই মৃতদের দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। এরপর, ভোর দুটো নাগাদ নিহতদের স্বজনদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে মৃতদেহ শনাক্তকরণের কাজ শুরু হয়। এখনও পর্যন্ত ১৬ জনের দেহ শনাক্ত করা গিয়েছে। শুক্রবার ভোর ৫টা থেকে দেহগুলি হস্তান্তর করা শুরু হয়েছে।

Next Article