নয়াদিল্লি: চার দিনের ভারত সফরে এলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছন তিনি। সোমবার সকাল ১০টা ১৭ মিনিয়ে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইটে ভারতের উদ্দেশে রওনা দেন। হাসিনা ছাড়াও তাঁর সঙ্গে ভারতে এসেছেন সফরসঙ্গীরা। নয়াদিল্লি বিমানবন্দরে হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানিয়েছে ভারত সরকারের প্রতিনিধিরা। সেখানে ছিলেন ভারতে থাকা বাংলাদেশের হাই কমিশনার মুহাম্মদ ইমরান। সেখানে হাসিনার সম্মান বাদ্যযন্ত্র সহ নৃত্য পরিবেশন করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা চার দিন থাকবেন ভারতে। ৫ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪টের সময় বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে শেখ হাসিনার। ভারত সফরের দ্বিতীয় দিনে, ৬ সেপ্টেম্বর হায়দরাবাদ হাউসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পর দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে পারেন শেখ হাসিনা।
৭ সেপ্টেম্বর নোবেলজয়ী কৈলাশ সত্য়ার্থীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন হাসিনা। পাশাপাশি ভারতীয় শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এই কর্মসূচি সেরে ৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ফিরবেন হাসিনা। তাঁর আগে আজমের শরিফে যেতে পারেন তিনি।
#WATCH | Bangladesh PM Sheikh Hasina arrives in Delhi as she begins her 4-day visit to India. pic.twitter.com/QHgDluxlTE
— ANI (@ANI) September 5, 2022
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে নিরাপত্তায় সহযোগিতা, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা, পরিকাঠামো উন্নয়ন, দুদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। এ ছাড়াও রেল সংযুক্তি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিষয়টিও উঠে আসতে পারে দুদেশের রাষ্ট্রপ্রধানের আলোচনায়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নিজেদের প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চিন। কিন্তু চিনের ঋণের ফাঁদে পড়ে শ্রীলঙ্কায় নেমে এসেছে সঙ্কট। পাকিস্তানের অর্থনীতির অবস্থাও ভাল জায়গায় নেই। সে তুলনায় ভারত এবং বাংলাদেশ দুদেশের অর্থনীতিই বেড়ে চলেছে। এই অবস্থায় নিজেদের মধ্যে সম্পর্ককে আরও কতটা দৃঢ় করতে পারে দুই দেশ, সে দিকে নজর রয়েছে কূটনৈতিক মহলের।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে এর আগে একাধিক বার ডাক পেয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। এখনও অবধি সূত্র মারফত যে খবর পাওয়া গিয়েছে, তাতে কেন্দ্রের তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে।