নয়া দিল্লি: কোনও একটি দেশের অন্তর্গত রেল পরিষেবা হিসেবে বহরে ভারতীয় রেল বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম। কয়েক লক্ষ কর্মী কাজ করেন এই রেলে। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ ভারতীয় রেলে যাতায়াত করেন। পরিষেবার ক্ষেত্রেও ভারতীয় ক্রমশ অগ্রগতির আলো দেখাচ্ছে। রেল পরিষেবা উন্নততর করতে এবার প্রতিবেশী বাংলাদেশকে সাহায্য করবে ভারত। সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসেছিলেন ভারত সফরে। আর সেই সফরেই রেলের এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশ রেলের কর্মীদের প্রশিক্ষন দেবে ভারত। শুধু তাই নয়, তথ্য ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও সাহায্যের হাত বাড়ানো হবে।
ভারত সরকার ও ভারতীয় রেলের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের সেই মৌ (MoU) চুক্তি হয়েছে। চুক্তি অনুসারে ভারতীয় রেলের যে ইন্সটিটিউট আছে, সেখানে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন বাংলাদেশের রেলকর্মীরা। বিভিন্ন সেমিনার, ওয়ার্কশপের পাশাপাশি চলবে পঠন-পাঠন ও হাতে কলমে প্রশিক্ষণ। বাংলাদেশে যাতে এই ধরনের প্রশিক্ষণ শুরু করা যায়, সে ব্যাপারেও সাহায্য করবে ভারত।
শুধু প্রশিক্ষণ দেওয়াই নয়, বাংলাদেশ রেলকে প্রযুক্তিগত দিক থেকে আরও সমৃদ্ধ করতেও সাহায্য করবে ভারত। রেলের টিকিট কাটার ক্ষেত্রে, যাত্রীদের তথ্য জানার ক্ষেত্রে যাতে প্রযুক্তির ব্যবহার করা যায়, সে দিকেও নজর দিচ্ছে বাংলাদেশ। মালবাহী ট্রেন চালানোর জন্য যে প্রযুক্তি প্রয়োজন, তাতেও সাহায্য করবে ভারত। অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে রেল পরিষেবা উন্নত করার দিকে মন দিচ্ছে ঢাকা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ইতিমধ্যেই বৈঠক হয়েছে শেখ হাসিনার। কুশিয়ারা নদীর জলবন্টন নিয়ে চুক্তি হয়েছে দুই দেশের। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সাতটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে এই বৈঠকে। রেল, মহাকাশ গবেষণা, টেলিভিশন সহ বিভিন্ন বিষয়ে চুক্তি হয়েছে।