নয়া দিল্লি: গতকাল অর্থাৎ সোমবার থেকে শুরু হয়েছে ৪৮ ঘণ্টার ব্যাঙ্ক ধর্মঘট (Bank Strike)। যার জেরে ব্যাঙ্কে একাধিক পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। দ্বিতীয় দিনেও নাছোড়বান্দা মনোভাব ব্যাঙ্ক কর্মীদের। বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন দু’টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণের কথা জানিয়েছিলেন। সেই প্রতিবাদেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ জানানোর পথে হেঁটেছেন ব্যাঙ্ক কর্মচারীরা।
তাঁদের মতে, ব্যাঙ্কের যদি বেসরকারিকরণ হয়, তাহলে চাকরি হারাবেন অনেকে। তাই গত ফেব্রুয়ারি মাসে বৈঠক হয়েছিল ইউনাইটেড ফোরাম অব ব্যাঙ্ক ইউনিয়নসের। সেখানে স্থির হয়েছে ১৫ মার্চ থেকে দুই দিন দেশজুড়ে ধর্মঘটের। ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অব ফোরামের সঙ্গে ধর্মঘটে রয়েছে অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসারস কনফেডারেশন (AIBOC), ন্যাশনাল কনফেডারেশন অব ব্যাঙ্ক এম্পলইজ (NCBE), অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন (AIBEA), ব্যাঙ্ক ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া (BEFI), ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক এম্পলয়িজ ফেডারেশন (INBEF), ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক অফিসারস কংগ্রেস (INBOC), ন্যাশনাল অরগানাইজেশন অব ব্যাঙ্ক অফিসারস (NOBO) ও ন্যাশনাল অরগানাইজেশন অব ব্যাঙ্ক ওয়ার্কার্স (NOBW)। ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের এই দিনগুলিতে ব্যাঙ্কের একাধিক কাজ বন্ধ থাকলেও এটিএম খোলা থাকার কথা জানা গিয়েছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম মারফত। তবে এই ধর্মঘটের দিনগুলিতে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার কথা জানিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া ও কানাড়া ব্যাঙ্ক।
কিন্তু প্রথম দিনের ধর্মঘটেই চরম বিপত্তিতে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। দেশজুড়ে রাস্তায় নেমে ব্যাঙ্ক কর্মীরা স্লোগান তুলেছেন, “মানুষের সঞ্চয়ে নিরাপত্তা দাও।” সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের নেতারা জানিয়েছেন, মোট ১০ লক্ষ ব্যাঙ্ক কর্মী আন্দোলনে সামিল হয়েছেন। আধিকারিকদের মতে ব্যাঙ্কের ম্যানেজার ও অ্যাসিসট্য়ান্ট ম্যানেজারদের প্রত্যেকেই ধর্মঘটে সামিল হয়েছেন। অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এম্পলয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সিএইচ ভেঙ্কটচলম জানিয়েছেন, ধর্মঘটের ফলে গড়ে প্রায় ২ কোটি চেক ক্লিয়ারেন্স হয়নি। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ৪৮ ঘণ্টার এই ব্যাঙ্ক ধর্মঘট শেষ হলেও পরবর্তী দু’দিন ভুগতে হবে সাধারণ মানুষকে। কারণ ১৭ তারিখ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে চারটি বিমা কোম্পানির ইউনিয়ন। ১৮ তারিখ এলআইসির ইউনিয়নের ধর্মঘট।